-
6.
আমার শাশুড়ী খুবই অসুস্থ, ব্রেনের সমস্যা। স্ট্রোকের রোগী। ওনি খুবই পরহেজগার মানুষ। ৫ ওয়াক্ত সালাতের পাশাপাশি তাহাজ্জুদও মিস হয়না। কিন্তু ২ দিন ধরে ওনি সব ভুলে যাচ্ছে। কীভাবে নামাজ পড়তে হয় জানেন না ওনি। হাল্কা জানেন। ছোট্ট বাচ্চাদের মত করে কথা বলে নামাজে তেলাওয়াত করে। আমি পাশে বসে বলে দেই। মাঝে মাঝে সেজদা থেকে উঠতে গিয়ে, সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম- পড়ে ফেলে। কখনো বা সূরা মেলাতে ভুলে যায়, কখনো সূরাই ভুলে যায় পড়তে। কখনো ২ সেজদার জায়গায় ১ সেজদা দেয়। আবার ফরজ নামাজের ৩/৪ নাম্বার রাকাতে সূরা মিলিয়ে ফেলে। এজন্য পাশে বসে বলে বলে দিতে হয়। আর মাঝে মাঝে নামাজের বাহিরেও তাকায়। আমাকে কখনো জিগ্যেস করে কি বলবো? কখনো বলে দিলেও পরেনা। সোজা হয়ে যায়। এজন্য কি নামাজের কোনো সমস্যা হবে? ওনি নামাজে এদিকে সেদিকে তাকান, এ সমস্যা আগে ছিলোনা। আর আমি যে বলে দেই,ওনিও ভুলে পরেননা আমি বলে দিলেও, এতে কি গুনাহ হবে? (ওনি কোনো ভাবেই জীবনের এক ওয়াক্ত নামাজ কাজা করতে ইচ্ছুক নয়) কি বলবো? কখনো বলে দিলেও পরেনা, সোজা হয়ে যায়। এজন্য কি নামাজের কোনো সমস্যা হবে? ওনি নামাজে এদিকে সেদিকে তাকান, এ সমস্যা আগে ছিলোনা। আর আমি যে বলে দেই,ওনিও ভুলে পরেননা আমি বলে দিলেও, এতে কি গুনাহ হবে? (ওনি কোনো ভাবেই জীবনের এক ওয়াক্ত নামাজ কাজা করতে ইচ্ছুক নয়)
-
5.
প্রতি ওয়াক্ত নামাজে যেমন এশারের ৪ রাকাত সুন্নাত পড়ার পর মুনাজাত করা আবার ফরজ পড়ে মুনাজাত করা আব্যশ্যিক নাকি সব প্রকার নামাজ শেষে একবারে মুনাজাত করা ভালো?
-
4.
আকিকার শরঈ দৃষ্টিকোণ কী? আকিকা কী? কখন করতে হবে?
-
3.
আসসালামু আলাইকুম। একজন মেয়ে কিছুদিন আগে মুসলিম হয়েছেন। সে এখনো এফিডেভিট করেনি ফলে ব্যাপারটা তার পরিবার জানে না। এখন যদি তার পরিবার এসব জানতে পারে তাহলে তার উপর অত্যাচার শুরু করবে। এখন তো পূজার সময় তাই তার পরিবারের সাথে পূজায় যেতে হবে। সে কি পূজাতে অংশগ্রহণ করতে পারবে? অত্যাচারের ব্যাপারটা কি ওজর হিসেবে গ্রহণযোগ্য?
-
2.
আমি সর্বদা নিকাব করি। এই প্রথম মামা শশুরের বাসায় বেড়াতে যাবো। আমি পর্দা করি এটা তারা ভালো চোখে দেখে। কিন্তু মামা শশুর একদম নিজের মতো করে চলাফেরা করে। তাই আমার হাসব্যান্ড বলেছিলো, "তুমি পর্দা করো, কিন্তু নিকাবটা এভয়েড করো। না হলে তোমার র শাশুড়ী ও মামা শশুর মাইন্ড করবে।" উনি প্রাকটিসিং মুসলিম না। এখন আমার কি এরকম করা ঠিক হবে? নিকবের ব্যাপারে শিথিলতা করলে আমার কি গুনাহ হবে?
-
1.
আমি দেশের বাইরে থাকি। প্রতিনিয়ত খাবার অর্ডার করে খাই। গতকাল একটি রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার অর্ডার করি। খাবার অর্ডার করার সময়, ফটোতে বিরিয়ানির সাথেও ২/৩ অন্য আইটেম ও ছিল। খাওয়ার আসার পর দেখি বিরিয়ানিতে ডিম থাকার কথা ছিল, ডিম নেই। আমি খাওয়া খেয়ে নরমালি সিম্পলি জাস্ট রেটিং দেয়, একটা আইটেম মিস হয়ে ছিল সেজন্য। একটু পর দেখলাম তাঁরা আমাকে পুরো টাকায় রিফান্ড করে দিয়েছেন। অর্থ্যাৎ সম্পুর্ণ বিরিয়ানি ফ্রি। এখন আমার প্রশ্ন আমি ফ্রিতে খাওয়ার খেলাম, এটা কি আমার হক হয়েছে নাকি আমার কোন গুনাহ হবে?