স্ট্রোকের রোগীর নামাজ
প্রশ্ন: আমার শাশুড়ী খুবই অসুস্থ, ব্রেনের সমস্যা। স্ট্রোকের রোগী। ওনি খুবই পরহেজগার মানুষ। ৫ ওয়াক্ত সালাতের পাশাপাশি তাহাজ্জুদও মিস হয়না। কিন্তু ২ দিন ধরে ওনি সব ভুলে যাচ্ছে। কীভাবে নামাজ পড়তে হয় জানেন না ওনি। হাল্কা জানেন। ছোট্ট বাচ্চাদের মত করে কথা বলে নামাজে তেলাওয়াত করে। আমি পাশে বসে বলে দেই। মাঝে মাঝে সেজদা থেকে উঠতে গিয়ে, সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম- পড়ে ফেলে। কখনো বা সূরা মেলাতে ভুলে যায়, কখনো সূরাই ভুলে যায় পড়তে। কখনো ২ সেজদার জায়গায় ১ সেজদা দেয়। আবার ফরজ নামাজের ৩/৪ নাম্বার রাকাতে সূরা মিলিয়ে ফেলে। এজন্য পাশে বসে বলে বলে দিতে হয়। আর মাঝে মাঝে নামাজের বাহিরেও তাকায়। আমাকে কখনো জিগ্যেস করে কি বলবো? কখনো বলে দিলেও পরেনা। সোজা হয়ে যায়। এজন্য কি নামাজের কোনো সমস্যা হবে? ওনি নামাজে এদিকে সেদিকে তাকান, এ সমস্যা আগে ছিলোনা। আর আমি যে বলে দেই,ওনিও ভুলে পরেননা আমি বলে দিলেও, এতে কি গুনাহ হবে? (ওনি কোনো ভাবেই জীবনের এক ওয়াক্ত নামাজ কাজা করতে ইচ্ছুক নয়) কি বলবো? কখনো বলে দিলেও পরেনা, সোজা হয়ে যায়। এজন্য কি নামাজের কোনো সমস্যা হবে? ওনি নামাজে এদিকে সেদিকে তাকান, এ সমস্যা আগে ছিলোনা। আর আমি যে বলে দেই,ওনিও ভুলে পরেননা আমি বলে দিলেও, এতে কি গুনাহ হবে? (ওনি কোনো ভাবেই জীবনের এক ওয়াক্ত নামাজ কাজা করতে ইচ্ছুক নয়)
উত্তর:
প্রথমে আল্লাহর কাছে তাঁর সুস্থতার জন্য দোয়া করছি। নামায আল্লাহর বড় ইবাদত। এটি কখনই ছাড়তে হয় না, আপনার শাশুড়ি তার জ্বলন্ত প্রমাণ। যেহেতু তিনি অসুস্থ তাই তিনি ভুলে যাচ্ছেন। এটা স্বাভাবিক বটে। এখন আপনাদের করণীয় তাকে একাকী নামায পড়তে বলা। আর যেভাবে নামায পড়লে তার ভুল হবে না সেভাবে নামায পড়তে বলা। তাকে নামাযে বলে দেবেন না। তার পাশে থাকবেন না। যদি তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন তো এসব নামাযের কাযা করবেন। নতুবা আপনারা পরবর্তীতে ফিদইয়া দিয়ে দেবেন।
-মুফতী রবিউল ইসলাম