সর্বশেষ আন্তর্জাতিক রাজনীতি অর্থনীতি দেশ ভিডিওচিত্র ২

ঢাকা, ১০ মে: আওয়ামী লীগকে “সন্ত্রাসী সংগঠন” ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করার দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও ইসলামপন্থী কয়েকটি দলের ডাকে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ মোড়ে চলছে ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি। শনিবার সকাল থেকেই বিক্ষোভকারীরা শাহবাগে জড়ো হতে শুরু করেছেন। বিকেল ৩টায় সেখানে গণজমায়েতের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

বিক্ষোভ ও অবস্থানের পটভূমি

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দিবাগত রাত থেকে রাজধানীর গুলশানে প্রধান উপদেষ্টা বোর্ডের বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে অবস্থান নেয় এনসিপির নেতাকর্মীরা। এই কর্মসূচিতে যোগ দেয় হেফাজতে ইসলাম, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন ইসলামপন্থী সংগঠন। শুক্রবার সকালে জামায়াতে ইসলামীর নেতারাও কর্মসূচিতে যুক্ত হন।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ঘোষণা দেন, জুমার নামাজের পর যমুনার পূর্ব পাশে বড় জমায়েত ও বিক্ষোভ চলবে। সেখানে পাঁচটি পিকআপ ভ্যান জোড়া দিয়ে নির্মাণ করা হয় অস্থায়ী মঞ্চ। জুমার নামাজের পর শুরু হয় বিশাল জমায়েত, যেখানে বিভিন্ন ইসলামপন্থী দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন। বিক্ষোভ শেষে শাহবাগ মোড়ে মিছিল নিয়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এরপর থেকে শাহবাগ মোড় পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।

চলমান কর্মসূচি ও নির্দেশনা

শুক্রবার রাতভর শাহবাগে অবস্থান করেন বিক্ষোভকারীরা। যদিও মধ্যরাতের পর সড়কে উপস্থিতির সংখ্যা কিছুটা কমে যায়, তবে অনেকেই রাস্তায় অবস্থান করতে থাকেন। কয়েক ঘণ্টার বিরতির পর শনিবার সকাল থেকে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে আন্দোলনকারীরা।

এদিকে ভোরে একটি ফেসবুক পোস্টে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, “ঢাকার শাহবাগ ছাড়া দেশের অন্যান্য মহাসড়কে ব্লকেড দেওয়া হবে না। বরং জেলা পর্যায়ে স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত ও সমাবেশ করুন।”

তিন দফা দাবি প্রকাশ

শুক্রবার সন্ধ্যায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিন দফা দাবি সম্বলিত একটি পোস্ট করেন। দাবিগুলো হলো:

১. আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা;
২. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগের বিচার অন্তর্ভুক্ত করা;
৩. জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা।

পরে এই পোস্ট শেয়ার করেন হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “শাহবাগের অবস্থান চলমান থাকবে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্লকেড চালু রয়েছে। দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশের মানুষ আবারও ঢাকামুখী মার্চ শুরু করবে।”

জরুরি যানবাহনের জন্য ছাড়

শাহবাগ মোড় অবরোধ থাকলেও অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহনগুলো চলাচলের সুযোগ পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

আরও পড়ুন...

জনপ্রিয়

সর্বশেষ খবর