জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আগামীকাল বাজেট নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের পর দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সংগঠন এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল মঙ্গলবার (৩ জুন) বাজেট নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।
প্রেক্ষাপট
আজ বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জাতীয় সংসদে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট, যা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত সরকারের অধীনে প্রণীত হয়েছে।
এনসিপির অগ্রাধিকার
বাজেট নিয়ে এনসিপির অবস্থান নিয়ে ইতোমধ্যেই আগ্রহ তৈরি হয়েছে। দলটি বরাবরই ক্ষমতার ভারসাম্য, জবাবদিহি ও বিকেন্দ্রীকরণ– এই তিনটি মৌলিক সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। তাদের মতে, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পূর্বশর্তই হলো এসব কাঠামোগত সংস্কার।
এছাড়া, দুর্নীতি দমন, শিক্ষাখাতে যথাযথ বরাদ্দ, এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার বিষয়েও এনসিপি সবসময় সোচ্চার থেকেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাজেট বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ওপর জোর দিয়ে দলটি তাদের অবস্থান তুলে ধরবে।
অন্যান্য দলের প্রতিক্রিয়া
বিএনপি বাজেটকে রাজস্ব আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ বলে আখ্যা দিয়ে দাবি করেছে, এটি ঋণের বোঝা বাড়িয়ে অর্থনীতিকে আরও চাপের মুখে ফেলবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাজেটে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের সুযোগ দেখলেও বাস্তবায়নে দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখাকে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার নজির হিসেবে সমালোচনা করেছে।
এনসিপির পরিকল্পনা
শিগগিরই এনসিপি তাদের ‘সংস্কার রূপরেখা’ লিফলেট আকারে প্রকাশ করে জনগণের মাঝে বিতরণ করবে। এর মাধ্যমে তারা নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে চায় এবং বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দাবি জানাতে পারে।
উপসংহার
আগামীকাল এনসিপির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় বাজেট নিয়ে দলটির বিস্তারিত অবস্থান পরিষ্কার হবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা। এই প্রতিক্রিয়া আসন্ন নির্বাচন ও কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ঘিরে চলমান রাজনৈতিক বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।