৩০০ আসনেই জিততে লড়াই করব : ফয়জুল করীম
তিনশত আসনেই জিতে আসার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির শায়েখে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, স্বৈরতন্ত্রের স্থায়ী বিলোপ নিশ্চিত করতে আগামী নির্বাচনে সাংগঠনিক শক্তি ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রাথমিকভাবে মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থীদের দিনব্যাপী কর্মশালার দ্বিতীয় দফার আয়োজনে তিনি এ কথা বলেন।
ফয়জুল করীম বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে আগামী নির্বাচন জাতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ। পুরনো রাজনৈতিক বন্দোবস্ত আর নতুন বন্দোবস্তের মধ্যে লড়াই হবে। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, পেশিশক্তি ও কালো টাকা নির্ভর রাজনীতির বিরুদ্ধে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার নতুন রাজনীতির লড়াই হবে। আগামী নির্বাচন হবে জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের নির্বাচন। তাই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনিত সকল প্রার্থীকে দলের নির্দেশনা ও কর্মকৌশল অনুসরণ করে ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তিনশ আসনেই প্রার্থী দিয়েছি। রাজনৈতিক সমঝোতা ও বোঝাপড়া যা হওয়ার তা সময়মতো হবে। কিন্তু আমরা তিনশ আসনেই জিতে আশার জন্য লড়াই করব। সেজন্য সংগঠনকে মজবুত করতে হবে, স্থানীয় মানুষদের অভাব-অভিযোগ শুনতে হবে, মানুষের আপনজন হয়ে যেতে হবে। আমাদের কর্মকৌশল হবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সেই কর্মপন্থা, যা তিনি নবুওয়াতের আগে নিরবচ্ছিন্নভাবে করেছেন। হজরত খাদিজা (রা.) বলেছিলেন, ‘আপনি তো আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করেন, অসহায় দুর্বলের দায়িত্ব বহন করেন, নিঃস্বকে সাহায্য করেন, মেহমানের মেহমানদারী করেন এবং দুর্দশাগ্রস্তকে সাহায্য করেন।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনূস আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় নির্বাচন পরিচালনা, প্রচারণা, গণসংযোগ, স্মার্ট ক্যাম্পেইনিং স্ট্রাটেজিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিকসহ ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।