নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে : ইউসুফী
গত ১৫বছর ধরে একটি অশুভ শক্তি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করে সব অনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নির্বাচন উপ-কমিটির আহবায়ক মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী । তিনি বলেন, তারা দেশকে জুলুম নির্যাতনের কালো যুগে পরিণত করেছিল। ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ সুযোগ কিছুতেই যাতে হাতছাড়া না হয় তৎপ্রতি সবার সতর্কতা জরুরি। সেই পরাজিত শক্তি নানা কৌশলে আবার ফিরে আসার অপতৎপরতায় লিপ্ত। বুঝে হোক কিংবা না বুঝে হোক কিছু মহল নানা অজুহাতে নির্বাচন পেছানোর তৎপরতায় লিপ্ত। এর মাধ্যমে সেই অপশক্তি আবারো ফিরে আসতে পারে। তাই নির্বাচন যাতে ঘোষিত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়, এমন পরিবেশের প্রতি সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির মাধ্যমে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির ব্যাপারে আন্তরিক হওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নির্বাচন উপ-কমিটির আহবায়ক মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ১৫০জনের অধিক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, অনেক প্রার্থী এবং দলের সংশ্লিষ্ট শাখা জোরালো ভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন এবং কিছু আসনে এককভাবে জিতে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে কিছু প্রার্থী তাদের কার্যক্রমের গতি মন্থর। যেহেতু নির্বাচন অত্যাসন্ন, তাই কোনদিকে না তাকিয়ে নিজেদের মত করে জোরালো ভাবে কাজ চালিয়ে যেতে হবে এবং কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ বাড়াতে হবে।
তিনি দলীয় প্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন,যেহেতু এবার সংসদে উচ্চ কক্ষ সৃষ্টি করা হয়েছে (তবে জমিয়ত উচ্চ কক্ষের বিরোধিতা করে সংষ্কার কমিশনে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে) এবং উচ্চ কক্ষ পিআর পদ্ধতিতে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই দলের কাস্টিং ভোট বাড়াতে হবে। সুতরাং ঘোষিত সকল আসনে তৎপরতা জোরদার করতে হবে।
