শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে ক্লাসের বাইরে এক কোটি শিক্ষার্থী
বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রবিবার সকাল থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা।
এতে সাড়ে ৬৫ হাজারেরও বেশি বিদ্যালয়ের প্রায় এক কোটি শিশু শিক্ষার্থীর ক্লাস বন্ধ হয়ে গেছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এলেও শিক্ষকরা পাঠদান বন্ধ রেখেছেন। বাধ্য হয়ে ক্লাস না করেই ফিরে যেতে হচ্ছে শিশুশিক্ষার্থীদের।
দশম গ্রেডে বেতন-ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন সহকারী শিক্ষকরা। ১৫ নভেম্বরের পর তাদের কর্মবিরতি কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা ছিল। তবে অবস্থান কর্মসূচির প্রথমদিনে শাহবাগে ‘কলম সমর্পণ’ কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার ঘটনায় তা এগিয়ে এনেছেন শিক্ষকরা। ফলে আজ থেকেই সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেয় ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’।
পরিষদের অন্যতম নেতা ও বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, ঢাকায় যেভাবে আমাদের শিক্ষকদের ওপর হামলা করা হয়েছে, তাতে প্রাথমিক শিক্ষকসমাজ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আমাদের অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা রক্তাক্ত, অনেকের হাত-পায়ে বুলেটের স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়েছে। তারা হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। কয়েকজনকে আটক করে রাখা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অবশ্যই দেশের সব বিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকরা। যৌক্তিক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারেও অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব। তারপরও যদি সরকার দাবি মেনে না নেয়, তাহলে প্রয়োজনে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।
