সর্বশেষ আন্তর্জাতিক রাজনীতি অর্থনীতি দেশ

এক-দেড় মাস পরেই নামবে শীতের আবহ। তবে এখনই শীতের সবজিতে ভরপুর রাজধানীর সবজির বাজারগুলো। ফলে শীতের আগাম সবজিতে টানা কয়েক মাস ঊর্ধ্বমুখী থাকা কাঁচাবাজারে স্বস্তি নেমে এসেছে। প্রতিটি সবজির দাম কমে প্রায় অর্ধেকে ঠেকেছে।

শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) রাজধানীর কয়কটি কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, কাজলার কয়েকটি বাজারে ক্রেতাদের মুখে তৃপ্তির হাসি দেখা যায়। তারা বলছেন, টানা ৪-৫ মাস সবজির দাম উল্লম্ফন হয়েছে। সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যায় অধিকাংশ সবজির দাম। এখন শীতকালীন সবজি বাজারে এসেছে। তাই বিক্রেতা কম দামে ছাড়ছে। আগে যেসব সবজির দাম ৮০-১০০ টাকা ছিল তা এখন ৪০-৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। শীতের ভর মওসুমে আরও কমবে বলে আশা করছেন ক্রেতারা।

মূলত ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, শিম, গাজরসহ নানা সবজির আগমনেই কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে কাঁচাবাজারে। ফলে আগের সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম অনেকটা কমেছে।

পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় আগাম মৌসুমে চাষ হওয়া শীতের সবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এতে দাম কিছুটা কমেছে এবং ক্রেতাদের ভিড়ও বাড়ছে।

আজ প্রতি কেজি বরবটি ৬০ টাকা, মুলা ৪০-৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকায়, গাজর কেজি ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা, টমেটো ১০০- ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতিকেজি ঢেঁড়শ ৪০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, বেগুন (গোল) প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধন্দুল ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে ফুল কপি (ছোট) প্রতি পিস ৪০- ৫০ টাকা এবং বাঁধা কপি (ছোট) প্রতি পিস ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লাউ প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকা, কাঁচা কলা (প্রতি হালি) ৪০ টাকা, কঁচুর লতি মুঠো ৫০-৬০ টাকা।

যাত্রাবাড়ীর আড়তের ক্রেতা সাব্বির আলম বলেন, দুই সপ্তাহ আগেও ফুলকপি একশ টাকা ছিল, এখন ৫০-৬০ টাকায় পাচ্ছি। শীতের সবজি উঠতে থাকলে দাম আরও কমবে।

সবজি বিক্রেতা জামাল উদ্দিন জানান, আগাম মৌসুমে উৎপাদন ভালো হওয়ায় পাইকারি দামে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। তবে পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম পুরোপুরি কমেনি। মাসখানেক পর আরও কমে আসবে সব ধরনের সবজির দাম।

কৃষি বিভাগ বলছে, আগাম জাতের সবজি চাষে কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন। এতে একদিকে বাজারে সরবরাহ বাড়ছে, অন্যদিকে ভোক্তারাও পাচ্ছেন স্বস্তি।

সামনে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি সবজি বাজারে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে সাধারণ ক্রেতারা কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারছেন আগাম শীতের স্বাদে।

আরও পড়ুন...

জনপ্রিয়

সর্বশেষ খবর