ভয়ানক আতঙ্কের শব্দ ধর্ষণ
হালচাল ।। মায়েদা বিল্লাহ
ভয়ানক আতঙ্কের শব্দ ধর্ষণ
ধর্ষণ বর্তমান সময়ে এক ভয়ানক আতঙ্কের শব্দ। ধর্ষণ হল মূলত কোনও মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা।
ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটে মূলত অনেকগুলো কারণে। তা হলঃ
১. নৈতিক অবক্ষয়
২. শিক্ষার অভাব
৩. নারীর প্রতি অবমাননাকর চিন্তাভাবনা
৪. অনৈতিক বিনোদন
৫. আইনের দুর্বলতা
৬. নারীর নিরাপত্তার অভাব
৭. পারিবারিক শিক্ষা
৮. সামাজিক মনোভাব
উল্লেখিত কারণ ছাড়াও আরও অনেক কারণ আছে ধর্ষণের।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ এ ধর্ষণের ঘটনা নিত্যদিনের কাহিনীতে পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন খবরের কাগজে, টিভির পর্দায় ধর্ষণের খবর পাওয়া যায়। ছোট বাচ্চা থেকে বৃদ্ধা কেউ মুক্তি পাচ্ছে না এই ধর্ষণের বিষবৃক্ষ থেকে। গত ৯ মাসে ৬৬৩ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। কন্যা তার পিতা কর্তৃক ধর্ষিত হচ্ছে, ছেলের বউকে শশুর ধর্ষণ করছে, শিক্ষক তার ছাত্রীকে ধর্ষণ করছে, ভাই তার বোনকে ধর্ষণ করছে এমন না বলা কত কাহিনী, কত ঘটনা আমাদের চারপাশে ঘটে যাচ্ছে। রিকশাচালক, বাস চালক, সাধারণ পথচারী, দোকানদার কেউ বাদ যাচ্ছে না শারীরিক চাহিদা মেটানোর জন্য কোন নারীকে ভুক্তভোগী করতে। আমাদের সমাজে ৩ বছরের বাচ্চার যেমন নিরাপত্তা নেই ঠিক তেমন ৮০ বছরের বৃদ্ধারও নেই।
বাংলাদেশের দণ্ডবিধি অনুসারে ধর্ষকের শাস্তি হচ্ছে “মৃত্যুদণ্ড” বা “আজীবন কারাদণ্ড”। কিছু ক্ষেত্রে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়।
তবে এই শাস্তির আওতায় কত জন ধর্ষক আছে সেটি এক বিরাট প্রশ্ন!
আমাদের সমাজে এখনো অনেক ধর্ষক মাথা উঁচু করে ঘুরে বেড়ায় আর কোণঠাসা হয় ধর্ষিতা। এখনো ধর্ষণ হলে বেশিরভাগ সময় দোষ দেওয়া হয় সে ধর্ষিতা নারীকে।
আসলেই কি ধর্ষণের পেছনে ধর্ষিতার দোষ আছে নাকি মেরুদণ্ডহীন সেসব পুরুষদের বাঁচানোর এক নিছক চেষ্টা?
এই প্রশ্ন আমার, এই প্রশ্ন আমাদের, এই প্রশ্ন নারীজাতির, এই প্রশ্ন সেই সব ধর্ষিতা নারীর।
স্বাধীনতার বার্তা / মেবি
