কেমন ফলাফল এলো আনিসার
হঠাৎই মায়ের অসুস্থতার জন্য কেন্দ্রে দেরিতে আসায় এইচএসএসি পরীক্ষা না দিতে পারা সেই আনিসা আহমেদ ফেল করেছেন। তিনি বাংলা ও ইসলামের ইতিহাস এই দুই বিষয়ে ফেল করেছেন।
১৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
আনিসা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ হতে এইবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তিনি একজন মানবিক বিভাগের ছাত্রী।
এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনই (২৬ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী আনিসা মায়ের অসুস্থতার জন্য সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেনি। দেরি হওয়ায় তাকে আর কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেননি দায়িত্বরতরা। এই সময় পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। গেটের বাইরে দীর্ঘসময় অপেক্ষায় থাকার পরও তিনি সেদিন পরীক্ষা না দিতে পেরে ফিরে যান। আনিসার পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ।
আনিসার কান্না তখন নাড়িয়ে দেয় বহু মানুষের বিবেক। অনেকেই দাবি করেন মানবিক বিবেচনায় হলেও তাকে পরীক্ষা দেওয়ার একটি সুযোগ করে দেওয়া উচিত।
অন্তর্বর্তী সরকারও সেই দাবি গ্রহণে নেয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং হতে তখন শিক্ষা উপদেষ্টার বরাতে জানানো হয়েছিল, ‘পরীক্ষা দিতে না পারা আনিসার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’
কিন্ত তার বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষাটি আর নেয়া হয়নি। তখন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির জানিয়েছেন, পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে বোর্ডের কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত নেই। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দুটি আলাদা তদন্ত টিম ঘটনাটি যাচাই করে প্রতিবেদন দিয়েছে, যেখানে আনিসার দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।
স্বাধীনতার বার্তা / মেবি
