মুসলিম বোন ধর্ষণের শাস্তি দাবি করলেন মুফতী আবদুল্লাহ ইয়াহইয়ার
দেশের ভেতরে কিছু চক্রান্তকারী মহল নানাভাবে সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ইমাম পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি ও ঢাকা গাউসিয়া মার্কেট জামে মসজিদের খতীব মুফতী আবদুল্লাহ ইয়াহইয়া। তিনি বলেন, বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় জনগণ উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছে— দেশের ভেতরে কিছু চক্রান্তকারী মহল নানাভাবে সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সম্প্রতি উগ্রবাদী হিন্দু কর্তৃক একাধিক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ১৩ বছরের মুসলিম বোনের প্রতি বর্বর যৌন নির্যাতনের ঘটনাটি গভীরভাবে নিন্দনীয় ও লজ্জাজনক।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই, নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক কার্যকলাপ কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। বাংলাদেশের সর্বভৌমত্ব ও মুসলিম নারীর মর্যাদার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক তাদের এই ধৃষ্টতাপূর্ণ কর্মকান্ডের প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাই।
বুধবার (২২ অক্টোবর ২০২৫ ঈ.) বাদ মাগরিব যাত্রাবাড়ী ভাঙ্গাপ্রেস সংলগ্ন জামি’আ ইসলামিয়া দারুল উলূম ঢাকার উদ্যোগে আয়োজিত ইমামদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, উগ্রবাদী সংগঠন ইস-ক-নের ষড়যন্ত্রের একটি হলো ‘ভাগওয়া লাভ ট্র্যাপ’ এ সম্পর্কে তরুণদের সতর্ক করে বক্তৃতা দেওয়ায় মসজিদের সম্মানিত এক খতীবকে রহস্যজনকভাবে অপহরণ করা হয়েছে। এই ঘটনা শুধু আলেম সমাজের নিরাপত্তার উপরই নয়, বরং দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ধর্মীয় নেতৃত্বের মর্যাদার উপরও গুরুতর আঘাত হেনেছে।
মুফতী আবদুল্লাহ ইয়াহইয়া বলেন, আমরা এই সমস্ত ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। একই সঙ্গে আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আহ্বান জানাই— দেশে বিভেদ সৃষ্টিকারী যেকোনো গোষ্ঠী ও ষড়যন্ত্রকারীদের দালালি ছেড়ে তাদেরকে কঠোর হাতে দমন করুন। আমরা শান্তি, ন্যায় ও ইসলামী আদর্শের পথে ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষাই আমাদের অঙ্গীকার।
সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই— এই সংক্রান্ত ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। দেশব্যাপী ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। তরুণ সমাজকে নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে সচেতন করা হোক, যেন তারা যে কোনো প্রকার অনৈতিক সম্পর্ক ও ষড়যন্ত্রমূলক ফাঁদ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও সত্য প্রকাশই সমাজে স্থায়ী শান্তি আনতে পারে। ইসলামী সমাজব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে নিরাপত্তা, মর্যাদা ও সচেতনতা রক্ষা করা সবার দায়িত্ব।
মুফতী মাসুম বিল্লাহ’র সভাপতিত্বে উক্ত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মুফতী আব্দুল্লাহ ইদ্রিস, মুফতী জাফর আহমদ, মুফতী তাজুল ইসলাম, মুফতী ফারহান নাজিম প্রমুখ।
