বিশ্ব-রাহবার ফিদায়ে মিল্লাতের পদধূলির খোঁজে
বিশ্ব-রাহবার ফিদায়ে মিল্লাতের পদধূলির খোঁজে
।। মাসউদুল কাদির ।।
পৃথিবী চমকে দিয়েছিলেন উপমহাদেশের আধ্যাত্মিক রাহবার আওলাদে রাসুল ফিদায়ে মিল্লাত আসআদ মাদানি রহ.। তার জীবন ও কর্ম শীর্ষক ফিদায়ে মিল্লাত কনফারেন্স একটি আলোর জলসা। আলোকিত মানুষের মেহফিল। জীবনভর যাদের কর্মস্পৃহাগুণে আপ্লুত হয়েছি, সেসব রঙিন বৃহস্পতিবারে মেলা বসছে বিশ্বখ্যাত তারকা আলেমদের।
নতুব বাংলাদেশে দেওবন্দী আলেমদের এই মিলনমেলাটা অনেক বেশি প্রত্যাশিত। আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই। এ আয়োজন উপলক্ষে আওলাদে রাসুল ফিদায়ে মিল্লাত আসআদ মাদানি রহ. এর উপর একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশিত হবার কথা। উপমহাদেশের এ সেরেতাজকে নিয়ে লেখার লোভ সংবরণ করতে পারিনি। বড়দের থাকবার আশায় একটি স্মৃতিগদ্য লিখেছি। আলহামদুলিল্লাহ।
চৌধুরীপাড়া মাদরাসার ইতিহাসে আওলাদে রাসুল ফিদায়ে মিল্লাত আসআদ মাদানি রহ. আমাদের শিশুজীবন মননে প্রোজ্বল হয়ে আছে। ধরুন, আপনাকে কেউ জিগ্যেস করলো, বড় আলেম কে?
আপনি নিশ্চয়ই নিজের উস্তাদদের নাম উচ্চারণ করার ক্ষেত্রে এগিয়ে রাখবেন। আওলাদে রাসুল ফিদায়ে মিল্লাত আসআদ মাদানির সংপর্শ পাওয়ায়, কথা, আলোচনা শুনবার সুযোগ হওয়ায় আমাদের চিন্তালোকের ব্যাপকতা পেয়েছিল। দূরদর্শিতা অর্জনের সোপান ছিলেন তিনি।
আধুনিক স্কুল, সেবামূলক কাজ, হামলা-মামলায় আক্রান্তদের সহযোগিতা, যৌতুকবিহীন বিয়ে, বিধবাদের সহযোগিতাসহ নানামুখী ব্যতিক্রমী কাজের উদ্যোক্তা কিংবা চিন্তক রাহবার ছিলেন ফিদায়ে মিল্লাত রহ.। আজকের তরুণকে হযরত ফিদায়ে মিল্লাত রহ. কে জানা উচিত। পড়া উচিত। ভারত আমাদের কূটনৈতিক শত্রু৷ কিন্তু দারুল উলূম দেওবন্দ আমাদের সবসময় বন্ধু। ৪৭ - এর পর থেকে এ বন্ধুত্বের অবস্থান কখনোই সুখকর ছিলো না। কারণ, এখনো পর্যন্ত দেওবন্দে আমাদের সন্তানরা বৈধভাবে পড়তে যেতে পারে না। আশা করি, কওমী স্বীকৃতি আদায় ও বাস্তবায়নে গত জোট সরকারে যে বাধা ও উপেক্ষার প্রাচীর দাঁড় করানো হয়েছিল-তা এবার থাকবে না।
পাক-ভারতের আলেমদের সবকাজ হয়তো আমাদের দরকার লাগবে না। কিন্তু তারা যেসব ক্ষেত্রে উন্নতি করেছে- তা আমাদের লাগবেই। নেতারা যেমন বলেন, ঘী আমাদের লাগবেই।
বিশ্বের খ্যাতিমানদের কথা শুনবো, নিজেদের গড়বো। এমন পণ হওয়া চাই।
বিশ্ব রাহবার ফিদায়ে মিল্লাতের পদধূলির খোঁজে এখনো আমরা মরিয়া। অনেক আশেকান, যতটা সময় হযরতের নাম উচ্চারণ হয় ততটা সময় চুপ থাকেন। তিনি বাংলাদেশে আসতেন মানে প্রেমের দরিয়ায় যেনো নোঙর করতেন। যাদুময় উর্দু কথাবার্তার ফাঁকে চমৎকার বাংলা ভাষার শব্দ অসাধারণ ভাবে প্রয়োগ করতেন। শ্রোতা মুগ্ধ হতেন।
কনফারেন্স সফল হোক। এমন আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত থাকুক। আয়োজকদের কষ্ট, শ্রম, ঘামকে আল্লাহ তাআলা কবুল করুন। আমীন।
লেখক : চেয়ারম্যান, শীলন বাংলাদেশ ও সম্পাদক, স্বাধীনতার বার্তা
