ধর্ষণের ঘটনাকে ‘প্রেমের সম্পর্ক’ বলা দুর্ভাগ্যজনক
আলোর কথা ।। শায়খ আহমাদুল্লাহ
ধর্ষণের ঘটনাকে ‘প্রেমের সম্পর্ক’ বলা দুর্ভাগ্যজনক
এক শ্রেণির হিন্দু যুবক তথাকথিত প্রেমের ফাঁদে ফেলে মুসলিম মেয়েদের ধ#র্ষণ করছে—এরকম একটি তথ্য অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। অথচ এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।
এর মাঝে বুয়েটের এক হিন্দু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মুসলিম মেয়েকে অজ্ঞান করে ধ#র্ষণ করার বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ উঠেছে।
শুধু তাই নয়, মুসলিম নারীদের, বিশেষ করে পর্দানশীন মেয়েদের নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় তার কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের স্ক্রিনশট রয়েছে।
তার এইসব ঘৃণ্য মন্তব্য থেকে বোঝা যায়—এগুলো তার ব্যক্তিগত অপরাধ নয়। বরং এগুলো সাম্প্রদায়িক অপরাধ এবং এর পেছনে আছে উগ্র হি#ন্দুত্ববাদী জিঘাংসা অথবা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট ও দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা।
এদিকে গাজীপুরে তেরো বছরের এক মুসলিম কিশোরীকে ধ#র্ষণ করেছে একদল হিন্দু যুবক। প্রশাসন এই ধ#র্ষণকে প্রেমের সম্পর্ক বলে হালকা করার চেষ্টা করছে; যা দুর্ভাগ্যজনক।
প্রচলিত আইনে ষোলো বছরের কম বয়সী মেয়েদের সম্মতি থাকুক অথবা না থাকুক, সেটা ধ#র্ষণ হিসেবেই বিবেচিত হয়।
তারপরও প্রশাসন কর্তৃক বিষয়টিকে হালকা করার অপচেষ্টা কেন? ধ#র্ষক হিন্দু বলে? তের বছর বয়সের বিয়েকে বাল্যবিবাহ বলে তেড়ে আসতে দেখা যায়, এক্ষেত্রে দেখা গেল উল্টো ঘটনা।
বুয়েটের ঘটনায় ইতোমধ্যে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত ধ#র্ষকের ছাত্রত্ব বাতিলসহ সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে। ধ#র্ষকের সাথে ক্লাস না করার ঘোষণাও দিয়েছে তার সহপাঠীরা।
আমরা শিক্ষার্থীদের এই ন্যায্য আন্দোলনের পক্ষে আছি।
আমরা বুয়েট এবং গাজীপুরের ধ#র্ষকদের তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
সেই সাথে তথাকথিত প্রেমের ফাঁদে ফেলা সাম্প্রদায়িক ধ#র্ষণ চক্রের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
পুনশ্চ : গাজীপুর এবং বুয়েট শিক্ষার্থীর ঘটনা প্রমাণ করে, এক শ্রেণীর হিন্দু যুবক তথাকথিত প্রেমের ফাঁদে ফেলে মুসলিম মেয়েদের ধর্ষণ করছে মর্মে যে আলোচনা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, তা গুরুত্বের সাথে দেখার সময় এসেছে। এই ষড়যন্ত্র যদি সত্য হয়, তবে এটা দেশের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য অশনি সংকেত। এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের এখনই পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
লেখক : চেয়ারম্যান, আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন
