নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় ওয়াকআউট
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণের পূর্বে বিভিন্ন প্রতিনিধিদলের ব্যাপক ওয়াকআউট গাজা যুদ্ধের কারণে ইসরাইলের ‘একঘরে’ হয়ে পড়ার সংকেত দেয় বলে মন্তব্য করেছে হামাস। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধানের মিডিয়া উপদেষ্টা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নেতানিয়াহুর ভাষণ বয়কট করা ইসরাইলের একঘরে হয়ে পড়ার ইঙ্গিত ও তাদের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের পরিণতির একটি প্রতিফলন।'
নেতানিয়াহু যখন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের মঞ্চে উঠলেন তখন বেশ কয়েকটি প্রতিনিধিদল ওয়াক আউট করেন।তারা এই ওয়াক আউট ইচ্ছাকৃতভাবে করেন বলে জানা যায়। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ছিলেন সেই দিনের প্রথম বক্তা।
এছাড়াও হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজ্জত আল-রিশক বলেছেন, নেতানিয়াহুকে ঘিরে এখন শুধু একদল উৎসাহদাতা দলই আছে, যারা শুধু জাতিসংঘের সভাকক্ষে ঢুকে গণহত্যার পক্ষে করতালি দিয়েছে।
ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে আটক রাখা বন্দিদের ইঙ্গিত করে হামাস বলেছে, ‘যদি তিনি সত্যিই তার বন্দিদের প্রতি মনোযোগী হতেন, তাহলে তিনি গাজার অমানবিক হামলা বন্ধ করতেন। কিন্তু তিনি এর পরিবর্তে মিথ্যা কথা বলছেন এবং তাদের জীবন আশঙ্কাগ্রস্ত করে চলেছেন।’
২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলায় ২৫১ জন বন্দি করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে এখনো ৪৭ জন গাজায় আটক রয়েছেন এবং ইসরাইলি সেনাবাহিনীর তথ্য অনুসারে, এদের মধ্যে ২৫ জন নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘে তার ভাষণে নেতানিয়াহু গাজায় ‘গণহত্যা’ এবং ‘অনাহার’ কে পরিকল্পনা হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ অগ্রাহ্য করেন।
তিনি ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে তৈরির বিরোধিতা করেন এবং সদ্য ইউরোপীয় কয়েকটি দেশের এই স্বীকৃতিকে ‘ইসরাইলকে জাতীয় দুর্যোগের দিকে ঠেলে দেওয়া’ ও হামাসকে সম্মানিত করার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
হামাস বলেছে, নেতানিয়াহুর ভাষণ বিরোধিতা করা ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ও একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে বৈশ্বিক ঐক্য ক্রমবর্ধমান প্রমাণ।’