ইরান-ইসরায়েল পাল্টা হামলায় বহু হতাহত, ট্রাম্পের ভূমিকা অনিশ্চিত
বৃহস্পতিবার ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতে নতুন করে সহিংসতা দেখা দিয়েছে। ইরানের বিভিন্ন পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার পাল্টা জবাবে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লে একটির লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলের একটি হাসপাতাল আক্রান্ত হয়। এতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ইসরায়েলি জরুরি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার তিনটি পৃথক স্থানে হামলায় পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন এবং আরও বহু মানুষ আঘাত পেয়েছেন।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের একটি সামরিক ও গোয়েন্দা সদর দপ্তরকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যা ওই হাসপাতালের নিকটবর্তী ছিল।
অন্যদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ISNA জানিয়েছে, ইসরায়েল খোন্দাব পারমাণবিক স্থাপনার ভারী জলের সুবিধার নিকটবর্তী একটি এলাকা লক্ষ্যবস্তু করেছে। গত এক সপ্তাহের ইসরায়েলি বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরানের সামরিক কমান্ডের বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন, এবং পারমাণবিক অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। নিহত হয়েছেন শতাধিক ইরানি নাগরিক।
জবাবে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলায় ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে আঘাত হানা হয়েছে, যাতে এখন পর্যন্ত অন্তত দুই ডজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
সংঘাতের এই উত্তপ্ত প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেননি, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের বিমান হামলায় অংশ নেবে কি না।
বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন :
আমি এটা করতে পারি, আবার নাও করতে পারি। কেউ জানে না আমি কী করব।
ওইদিনই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এক টেলিভিশন ভাষণে ট্রাম্পের আত্মসমর্পণের আহ্বানকে তীব্র ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেন। শুক্রবারের পর এটি ছিল তার প্রথম প্রকাশ্য বক্তব্য।
খামেনি বলেন :
যুক্তরাষ্ট্র যদি সামরিক হস্তক্ষেপ করে, তা হলে তা অপূরণীয় ক্ষতির দিকে নিয়ে যাবে। ইরানি জাতি কখনোই আত্মসমর্পণ করবে না।