সর্বশেষ আন্তর্জাতিক রাজনীতি অর্থনীতি দেশ ভিডিওচিত্র ২
গাজায় রক্তপাতের মহারণ: বিশ্বনেতাদের নীরবতা ও ইসরায়েলের অহংকার

মধ্যরাতের অন্ধকারে ইসরায়েলি ড্রোনের গুঞ্জন থামে না। গাজার উত্তরাঞ্চলের আকাশে জ্বলছে মৃত্যুর আগুন—৫১টি প্রাণ মাটির বুক চিরে ঝরে পড়েছে, যার ৪৫টিই শিশু ও নারী। রক্তের হলিখেলায় মাতোয়ারা ইসরায়েলি বাহিনী, আর বিশ্বনেতারা? তারা ব্যস্ত “মানবিক সহায়তা” নামক পুতুলনাচের রিহার্সলে!

রাশিয়া–চীন–যুক্তরাজ্যের “না” এবং মার্কিন মুখোশ

রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাজ্য মার্কিন–ইসরায়েলের গাজা পরিকল্পনাকে উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের ভাষ্য: “ইসরায়েলের অবরোধ প্রত্যাহারই একমাত্র সমাধান।” কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি সৌদি মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে বলছেন, “আমি শান্তি চাই!” অথচ তাঁর মিত্র নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, “যুদ্ধ থামবে না!”

এ কী স্ববিরোধ? না, এ পশ্চিমা রাজনীতির স্বাভাবিক চরিত্র—মিথ্যা বলো, রক্ত পান করো, ইতিহাস লিখো বিজয়গাথা!

সংখ্যার গল্প: লাশের মিছিল ও নীরব গণহত্যা

৫২,৯০৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত (গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়)

৬১,৭০০+ লাশ (সরকারি মিডিয়া)—ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া হাজারো মানুষকে “মৃত” ঘোষণা করা হচ্ছে

৭ অক্টোবর ২০২৩-এর পাল্টা হিসাব: হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ১,১৩৯ জন। কিন্তু প্রশ্ন—২০ গুণ বেশি ফিলিস্তিনি রক্ত কেন ছাড় পায় না?

মানবিক সহায়তা নাকি মৃত্যুর ব্যবসা?

জাতিসংঘের টম ফ্লেচার সতর্ক করেছেন: “মার্কিন পরিকল্পনা সহিংসতাকে বৈধতা দেবে।”

গাজায় ট্রাকে খাদ্য পাঠানো হয়, আর বিমানে অস্ত্র। এ কী দ্বৈতচরিত্র? না, এ পুঁজিবাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে থাকা রক্তের গন্ধ!

নারীর লাশ, শিশুর চোখ—যুদ্ধের আসল চেহারা

ইসরায়েলি বোমার আঘাতে গাজার মেয়েরা ধ্বংসস্তূপে জীবন দেয়। নতুন জন্মানো শিশুর প্রথম চিৎকার ফ‑১৬ যুদ্ধবিমানের গর্জনে ব্যাং দিয়ে ধরা পড়ে। নারীর শরীর যুদ্ধের শেষ ফ্রন্ট—তাই তো গাজার নিহতের ৭০% নারী ও শিশু। পুরুষতন্ত্রের যুদ্ধে নারীর দেহ কেন লক্ষ্যবস্তু?

উপসংহার: শান্তির নামে যুদ্ধ, মানবতার নামে মৃত্যু

গাজার রক্তাক্ত মাটি আজ প্রশ্ন করে—**“কবে বিশ্ববাসী বুঝবে, ফিলিস্তিনিরাও মানুষ?”

ইসরায়েলি অবরোধ, মার্কিন অস্ত্র, আরব নেতাদের নীরবতা—এসবের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোই আজ মানবতার ডাক। নেতানিয়াহু–ট্রাম্পের হাত মিলানো হাতুড়ির আঘাত বন্ধ করতে হবে, নইলে গাজা শুধু ভূতের শহর হয়ে থাকবে না—এটি হবে মানব সভ্যতার কাফনের কাপড়!

“যুদ্ধের মুনাফা ভোগ করে পশ্চিমা কোম্পানিগুলো, আর লাশের বোঝা বহন করে ফিলিস্তিনি মায়েরা। এটাই কি আধুনিক সভ্যতা?

আরও পড়ুন...

জনপ্রিয়

সর্বশেষ খবর