৫ লক্ষ অভিবাসীর মানবিক প্যারোল বাতিলে সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া এবং ভেনেজুয়েলার ৫,৩০,০০০-এরও বেশি অভিবাসীর মানবিক প্যারোল বাতিল করে দেশ থেকে বহিষ্কারের অনুমতি দিয়েছে। আদালত ট্রাম্প প্রশাসনের অনুরোধে নিম্ন আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ বাতিল করে এ সিদ্ধান্ত দেয়।
তবে এই আদেশে আদালত প্রশাসনের আকস্মিক নীতির পরিবর্তনকে সাময়িকভাবে অনুমোদনের পেছনে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।
মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বাইডেন প্রশাসনের অধীনে জারি করা পাঁচটি দেশের অভিবাসীদের জন্য বিশেষ সুরক্ষা বাতিল করে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এসব অভিবাসীকে ৩০ দিনের মধ্যে দেশত্যাগের নোটিশ দেওয়া হয়েছে— যদি না তাদের অন্য কোনো কর্মসূচির অধীনে বৈধ অবস্থান থাকে।
এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিবাসীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা একাধিক গোষ্ঠী আদালতের দ্বারস্থ হয়। তারা অভিযোগ করে যে, ফেডারেল আইন অনুযায়ী, ডিএইচএস সচিব কেবল কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে মানবিক সুরক্ষা প্রত্যাহার করতে পারেন— স্পষ্টভাবে একটি গোটা গোষ্ঠীর জন্য তা করার অধিকার তার নেই। একটি ফেডারেল জেলা আদালত এই যুক্তির সঙ্গে একমত হয়েছিল।
তবে সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তের ফলে এখন ট্রাম্প প্রশাসন তার নীতির বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে পারবে, যদিও মামলাটি নিম্ন আদালতে চলমান থাকবে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কেতানজি ব্রাউন জ্যাকসন ও সোনিয়া সোটোমায়র এই আদেশের বিরোধিতা করেন।
জাস্টিস জ্যাকসন তাঁর ভিন্নমত পোষণপত্রে লেখেন, “প্রায় পাঁচ লক্ষ অনাগরিকের জীবন ও জীবিকার ওপর এই আদেশের যে সম্ভাব্য ধ্বংসাত্মক প্রভাব পড়বে, আদালতের সংখ্যাগরিষ্ঠরা তা অবমূল্যায়ন করেছে। সরকারের হয়তো মামলায় জয়ের সম্ভাবনা আছে, কিন্তু আমাদের আইনি ব্যবস্থায় ন্যায়বিচার পেতে সময় লাগে।”
তিনি আরও বলেন, “স্থগিতাদেশের মানদণ্ড কেবল সম্ভাব্য জয় নয়— বরং আরও অনেক বিষয় বিবেচনায় নেয়। আমি সরকারের আবেদন প্রত্যাখ্যান করতাম, কারণ তাদের পক্ষ থেকে ক্ষতির যে সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে, তা একেবারেই অপর্যাপ্ত।”
এর আগে মে মাসের শুরুতে, সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্প প্রশাসনকে প্রায় ৩,৫০,০০০ ভেনেজুয়েলার ‘অস্থায়ী সুরক্ষিত মর্যাদা’ (TPS) বাতিল করার অনুমতি দেয়, যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসন থেকে সুরক্ষা ও কাজের অনুমতি নিয়ে অবস্থান করছিলেন।