সুদানে যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি আরএসএফ
দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পরে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব দেশগুলোর পরামর্শ মেনে মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানিয়েছে সুদানের আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস অথবা আরএসএফ। বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিতে এই কথা জানিয়েছে তারা।
গত দুই বছর যাবত সুদানের সামরিক বাহিনীর সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়িয়ে আছে আরএসএফ। এর পূর্বেও একাধিক সংঘাত বিরতিতে তারা রাজি হয়েছিল। কিন্ত কোনোটাই শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হয়নি বলে জানা যায়।
নতুন এক বিবৃতিতে আরএসএফ জানিয়েছে, ‘সুদানের সাধারণ মানুষের স্বার্থে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের কোয়াড দেশগুলোর প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তিটি মানবে।’ যুক্তরাষ্ট্র মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব এ কোয়াডের অন্তর্গত আছে।
এর পূর্বে দারফুরের পশ্চিমে দুর্ভিক্ষপীড়িত এল-ফাশের শহরটি আধা সামরিক বাহিনীর হাতে চলে গিয়েছে। তার দুই সপ্তাহের মাঝেই এ বিবৃতি প্রকাশ করেছে তারা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আফ্রিকা উপদেষ্টা মাসাদ বুলোস এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে বলে, আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস ও সামরিক বাহিনী দুই পক্ষই তিন মাসের শান্তিচুক্তিতে রাজি হয়ে গেছে।
আরএসএফ একটি বিবৃতিতে দিয়ে এ চুক্তি মানলেও সামরিক বাহিনী এখনও এই বিষয়ে কিছু জানায়নি। এর পূর্বে সেনাপ্রধান আবদেল ফাতাহ আল-বুরহান বলেছেন, তার সেনারা প্রতিপক্ষের পরাজয়ের অপেক্ষাতে রয়েছে।
এল-ফাশেরের উপর ক্রমাগত আক্রমণ চালানোর মাধ্যমে দারফুরের অধিকাংশ এলাকা দখল করেছে আরএসএফ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অথবা ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন জানায়, স্থানীয় হাসপাতালে অন্তত ৪৫০ মানুষকে মেরেছে আরএসএফ। এছাড়াও বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষদের হত্যা করা হয়েছে ও যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে।
স্বাধীনতার বার্তা / মেবি
