সুদানে চলছে গণহত্যা
সুদানে আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর একটি ভয়ানক অভিযোগ উঠে এসেছে। গত সপ্তাহে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ এল-ফাশার শহর নিজেদের দখলে নেয় এই বিদ্রোহী বাহিনীটি। এরপরে সেই শহর হতে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে বলে জানায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
এর পূর্বে ১৮ মাস যাবত এল-ফাশার শহর অবরুদ্ধ করে রেখেছিল আরএসএফ। এরপর হতেই শুরু করে দেয় ভারি বোমাবর্ষণ। এই সময় গোষ্ঠীটি গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে।
ইউএনএইচসিআরের ইউজিন বাইউন বলেছেন, এল-ফাশারে সহিংসতার পরে সেখান হতে কমপক্ষে ৮০ কিলোমিটার পশ্চিমের তাওইলা শহরে পালিয়ে আসা লোকজনের সংখ্যা গত কয়েক দিনে বেশ বেড়েছে। তারা নানা রকম ধর্ষণ ও নৃশংসতার ভয়াবহ গল্প শোনান। প্রায় প্রতিটি শিশু অপুষ্টিতে ভুগছিল। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় আশ্রয় ও খাবারের জন্য ইউএনএইচসিআর লড়াই করছে বলে বলেন তিনি।
ধারণা করা যাচ্ছে, দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলে সেনাবাহিনীর শেষ শক্ত ঘাঁটি এল-ফাশারে এখনও পর্যন্ত দেড় লাখেরও অধিক মানুষ আটকে আছে।
সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মাঝে ক্ষমতার জন্য ভয়াবহ লড়াই শুরু হওয়ার পরে ২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদান গৃহযুদ্ধে নিমজ্জিত হয়েছে। এর ফলস্বরূপ পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয়েছে।
দেশজুড়ে সংঘাতে প্রায় দেড় লাখেরও অধিক মানুষ নিহত হয়েছে ও প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। জাতিসংঘ এই ঘটনাটিকে বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকট হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
স্বাধীনতার বার্তা / মেবি
