ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সুমি অঞ্চলে একটি বেসামরিক যাত্রীবাহী বাসে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং আরও ৪ জন আহত হয়েছেন। শনিবার সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।

ইউক্রেনের ন্যাশনাল পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটি ছিল না কোনো সাধারণ গোলাবর্ষণ; বরং এটি একটি ঠান্ডা মাথার যুদ্ধাপরাধ। পুলিশ একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত বাসের ছবি প্রকাশ করেছে যাতে দেখা গেছে, গাড়িটির ছাদ উড়ে গেছে এবং জানালাগুলো ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষ্যমতে, তারা সুমি অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সামরিক সরঞ্জাম জমায়েতের জায়গায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে। তবে ইউক্রেন জানিয়েছে, হামলার লক্ষ্য ছিল সম্পূর্ণ বেসামরিক যান।

সুমি অঞ্চলের সামরিক প্রশাসনের প্রধান ইহোর তকাচেঙ্কো জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে উদ্ধার কার্যক্রম এখনো চলছে।

এই হামলা ঘটে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে তিন বছরের মধ্যে প্রথম সরাসরি শান্তি আলোচনার কয়েক ঘণ্টা পর। দুই ঘণ্টার কম সময়ের আলোচনায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও, রাশিয়া ও ইউক্রেন এক হাজার করে যুদ্ধবন্দী বিনিময়ে একমত হয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহকারী ভ্লাদিমির মেদিনস্কি, আর ইউক্রেনের প্রতিনিধি ছিলেন রুস্তেম উমেরভ।

আলোচনা শেষে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফ্রান্স, জার্মানি ও পোল্যান্ডের নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেন প্রকৃত শান্তি আনতে প্রস্তুত এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃঢ় অবস্থান এখন অত্যন্ত জরুরি।

জেলেনস্কি আরও মন্তব্য করেন, যদি রাশিয়া পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।

তথ্যসূত্র:

• ইউক্রেন ন্যাশনাল পুলিশ (টেলিগ্রাম পোস্ট)

• তাস নিউজ এজেন্সি (রাশিয়া)

• প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্ট

• রয়টার্স, আল জাজিরা