সর্বশেষ আন্তর্জাতিক রাজনীতি অর্থনীতি দেশ ভিডিওচিত্র ২

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৬ মে দিল্লির বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ৪০ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে লাইফ‌জ্যাকেট পরিয়ে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ফেলে দিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। অভিযোগ উঠেছে, বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের অজুহাতে তাদের আটক করা হয় এবং চোখ ও হাতে বেঁধে আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই সমুদ্রপাড় যেন শরণার্থীদের উপর “পুশ-ইন” বাস্তবায়ন করা হয়।

  • নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ ৪০ রোহিঙ্গা (২২৩ বাংলাদেশি নয়, রোহিঙ্গা। শনাক্ত হয়নি ২০ জন)।

  • ৬–৮ মে দিল্লি ও আন্দামান সাগরীয় জলসীমায়।

  • পুলিশ–নৌবাহিনীর যুগ্ম অভিযানে আটক, বিমানে পাঠানো, জাহাজ থেকে সমুদ্রে ফেলা।

  • ৩০ মিনিট সাঁতরে ২৩ জন উদ্ধার হন; বাকি নিখোঁজ বা আটকঅবস্থায়।

জাতিসংঘের বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেছে। আটককৃতরা নিষিদ্ধ জরুরি হেফাজতের (ভিসা) অধীনে ছিলেন; তাদের আদালতে তোলা হয়নি, বেআইনি আদবকায়দা লঙ্ঘন হয়েছে। এপি/আনাদোলু তথ্য অনুযায়ী, শরণার্থীদের পরিবারের পক্ষ থেকে দিল্লির সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হচ্ছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পুশ-ইন বন্ধের জন্য কূটনৈতিক নোট পাঠিয়েছে; পাল্টা পদক্ষেপের সম্ভাবনা জানানো হয়েছে।ভারত ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশনে স্বাক্ষর করেনি, তবে তৎক্ষা‌নিক সুরক্ষা নীতিমালায় মানবাধিকার অনুসারে পদক্ষেপের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২০২২ থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর চাপ বাড়ছে; গতবছরও আসামে শিবির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।এই ঘটনা আন্তর্জাতিক নিয়মবিরুদ্ধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। জাতিসংঘের তদন্ত ও ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ওপর নির্ভর করছে দোষীদের দণ্ড ও শরণার্থীদের ন্যায়বি।

আরও পড়ুন...

জনপ্রিয়

সর্বশেষ খবর