সর্বশেষ আন্তর্জাতিক রাজনীতি অর্থনীতি দেশ

সাক্ষাৎকারে আরাকান আর্মিপ্রধান তুন মিয়াত নাইং

রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলমানরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চায়

আরাকান আর্মিপ্রধান তুন মিয়াত নাইং ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাহিনীটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তিনি মেজর জেনারেল পদমর্যাদা ধারণ করেন। মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে লড়াই করে রোহিঙ্গাদের আদি নিবাস রাখাইন রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মংডুসহ অধিকাংশ এলাকা দখল করেছে সশস্ত্র বাহিনী আরাকান আর্মি। ইরাবতী তিন কিস্তিতে তাঁর দীর্ঘ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে, যেখানে রাখাইনের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এসেছে গুরুত্বের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইরাবতীর এডিটর-ইন-চিফ অং জ। এ নির্বাচিত অংশ স্বাধীনতার বার্তার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

ইরাবতী: আরাকান আর্মিপ্রধান হিসেবে আপনি রাখাইনে ফিরে প্রথমবারের মতো একটি বন্ধ মসজিদ খোলার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। রাখাইনের মানুষের প্রতিক্রিয়া কেমন দেখলেন?

তুন মিয়াত নাইং: মাতৃভূমিতে আমার ফেরা আমাদের বিপ্লবের পথে বাঁক বদলের ঘটনা। কারণ আমি প্রথম থেকেই বাইরে ছিলাম। এই ফেরার পথে বিশেষ বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ আমাদের অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। ৬ জুন বৃষ্টিস্নাত দিনে আমি ফিরেছি। এটি আমাদের জন্য স্মরণীয় ঘটনা। তবে রাখাইনের জনগণের জন্য এটা কঠিন সময়। আমরা তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আমি ও আমার কমরেডরা রাখাইনের মানুষের পাশে আছি। আমাদের ইতিহাসের জন্য এটি ঐতিহাসিক ঘটনা।

ইরাবতী: আপনি যখন রাখাইনে ফিরেছেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন, ঠিক সেই সময়ে বিশ্ববাসী রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনের দাবি জানাচ্ছে। তার জন্য আপনাদের প্রস্তুতি কী?

তুন মিয়াত নাইং: আমরা শুধু রাখাইন রাজ্যের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করার পরিবর্তে এর বাইরেও দেখতে পারি। সে জন্য পুরো মিয়ানমার এবং তার সঙ্গে যুক্ত বর্তমান বিশ্বও আসতে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার হলো, সেখানে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরানো। কিন্তু মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ চলছে। এখানে দুর্ভিক্ষ ও পরবর্তী সংকটও স্পষ্ট। সুতরাং এ সমস্যাগুলোকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ অবস্থায় এসব শরণার্থীকে মিয়ানমারে পাঠালে, যেখানে চলছে যুদ্ধ, কোনো তহবিল না থাকায় তাদের ‘মানবিক’ সহায়তার প্রশ্ন উঠবে।

ইরাবতী: শুধু এটাই কারণ?

তুন মিয়াত নাইং: একই সঙ্গে এটাও বলা দরকার, মিয়ানামারে আগের চেয়ে অনেক রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয়। তাদের বিষয়টি সামনে রেখে সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী সংকট আরও ঘনীভূত করতে পারে। আর অন্য অঞ্চলের চেয়ে বেশি সংকট মোকাবিলা করছি। আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে। আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েই সবকিছু করতে হবে। তবে সীমান্তে যা হচ্ছে, সে বিষয়গুলো আমাদের খুবই সতর্কতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের প্রধান কার্যালয় দূরে অবস্থিত, যেখানে প্রযুক্তির মাধ্যমে দূর থেকেই আমরা সব কিছু করছি। সে জন্য স্বভাতই কিছু শূন্যতা আছে। আমাদের সৈন্যদের শৃঙ্খলার ক্ষেত্রেও তা স্পষ্ট। তবে এখন তাদের আমরা আরও ঘনিষ্ঠভাবে তদারক করতে পারব। পালেতওয়া, বুথিডং এবং মংডুতে যে ভুল বোঝাবুঝি আছে, তারও অবসান ঘটানো যাবে।

ইরাবতী: ভুল বোঝাবুঝি অবসানে কী করছেন?

তুন মিয়াত নাইং: আমরা রাখাইনের মুসলিম নেতাদের এবং তাদের সম্প্রদায়-প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেখানে আমাদের কমরেডরা নাগরিকত্ব, অধিকার ও দায়িত্ব বিষয়ে গুরুত্ব দেন এবং এই সংকটের সময় ইতিহাসের সঠিক পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেন। আমরা আরও আলোচনা করেছি, কীভাবে সামরিক জান্তার শোষণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে হবে এবং স্বাধীনতার জন্য চলমান সংগ্রামে ভুল দিকে যাতে না দাঁড়ায়। আমরা বলেছি, যদি তারা অধিকার দাবি করার পরিবর্তে দায়িত্ববান হতো এবং তাদের কর্তব্য পালন করত, তাহলে এসব অধিকার দাবি করতে হতো না; এমনিতেই পেত। এসব কথা বৈঠকে স্পষ্টভাবে বলেছি এবং এর পেছনের কারণগুলো নিয়েও আলোচনা করেছি। আমরা বিগত ৭০ বছরে রোহিঙ্গা মুসলিম ও রাখাইন জনগণের মধ্যে সংঘাত নিয়ে কথা বলেছি, যা আমাদের একে অপরের প্রতি সন্দেহ ও ঘৃণায় পরিণত করেছে।

ইরাবতী: এখন কী পরিস্থিতি?

তুন মিয়াত নাইং: আমরা দেখিয়েছি, আরাকান আর্মি রাখাইন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে এসব সমস্যা আর দেখা যায়নি। সুতরাং, এখন যেহেতু আমাদের মধ্যে আর জাতিগত-ধর্মীয় বিরোধ নেই; শুধু নিরাপত্তাজনিত কারণে সীমান্ত এলাকায় কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে; সশস্ত্র কর্মকাণ্ড প্রতিরোধই এর উদ্দেশ্য। আমরা রাখাইন রাজ্যের মধ্যাঞ্চলের দিকেও নজর দিতে বলেছি, যেখানে মুসলিম ও রাখাইন জনগণের মধ্যে সহাবস্থান ও বাণিজ্য বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। আমরা সবাই একমত– কেন এসব ঘটনা ঘটেছে এবং কীভাবে আমরা এগুলো আরও ভালোভাবে করতে পারি। যখন মুসলিম ধর্মীয় নেতারা ধর্মীয় বিষয়ে কথা বলেন, তখন তিনি মসজিদের কথা তোলেন। আমরা নাগরিক অধিকার নিয়ে কথা বলি, যার মধ্যে মসজিদ থাকা এবং তা খোলা থাকার অধিকারের বিষয়টিও বলি। তবে আমরা রাখাইন রাজ্যের ইসলামিক কমিটি এবং মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের সতর্ক থাকতে বলেছি, যাতে মসজিদ খোলার সুযোগকে চরমপন্থিরা ব্যবহার করতে না পারে। এরপর বাকি বিষয়গুলোতে আমরা সবাই একমত হতে পেরেছি।

ইরাবতী: তার মানে, সেখানকার স্থানীয়দের সঙ্গে আপনার ভালো সূচনাই হয়েছে, যা ভবিষ্যৎ স্থিতিশীলতায় সহায়ক হবে। প্রশ্ন হলো, আপনি চরমপন্থি নিয়ে কথা বলেছেন। সব দিক থেকে চরমপন্থায় তা দেওয়া হচ্ছে। আপনার মতে, কারা এই অপরাধী?

তুন মিয়াত নাইং: এখানে অনেকেই আছে। সামরিক জান্তা এ সমস্যার জন্য দায়ী। আমরা এক সময় বুথিডং ও মংডু দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সেই সময় জান্তা স্থানীয় রোহিঙ্গা জনগণকে নিয়োগ করে সামরিক প্রশিক্ষণ দেয় এবং তাদের মগজ ধোলাই করে বোঝাতে থাকে– বুথিডং ও মংডু নাকি রাখাইন রাজ্যের অংশ নয়। এই প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য ছিল আমাদের বিরুদ্ধে লড়তে তাদের উৎসাহিত করা। জান্তা তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়। তবে তারা পুরোপুরি সফল হতে পারেনি, কারণ এই বিদ্রোহীরা জান্তা সরকারের ওপরেও আস্থা রাখতে পারেনি। তারা শুধু সুযোগ দেখেই এতে অংশ নেয়। মিয়ানমারের জান্তা সরকার রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের ব্যাপকভাবে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দেওয়ার আগেই রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন-আরএসও গড়ে তোলা হয়। কিন্তু পরে এই গোষ্ঠী তাদের কাছে অকেজো হয়ে যায়। তখন তারা আরসা তথা আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির দিকে ফিরে যায়। আরসা যখন মাদক সিন্ডিকেটে জড়ায়, তখন তারাও আর এই গোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। এর পর তারা আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে যেন আমরা এই গোষ্ঠীর সঙ্গে একত্র হয়ে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করি।

ইরাবতী: আপনি বলেছেন, মিয়ানমার জান্তা ও বাংলাদেশ উভয়ই আরএসও, আরসা ও অন্যান্য মুসলিম সশস্ত্র গ্রুপকে সমর্থন দিচ্ছে। কিন্তু আমরা এটাও শুনছি, আরাকান আর্মি অপরাধ করছে; তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কী?

তুন মিয়াত নাইং: বাংলাদেশ সম্প্রতি রোহিঙ্গা বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের আয়োজন করেছে। এর নেপথ্যে ছিলেন দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছিলেন, ‘রোহিঙ্গারা ঈদের আগেই রাখাইনে যাবে।’ তিনি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি বিবেচনা না করেই এ প্রস্তাব করেছেন। কিছু রোহিঙ্গা তাদের দেশে শান্তিপূর্ণভাবে যেতে চায় মিয়ানমারের আইন মেনে ও এর প্রতি বিশ্বস্ত থেকে। কিন্তু এখানে কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠীও আছে, যারা এ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করছে। ইউরোপীয় দেশগুলোতেও তাদের লোক আছে।

ইরাবতী: রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফেরাকে কেন্দ্র করে আপনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলার প্রচেষ্টা আমরা দেখছি। আপনি তার জবাব দেবেন কীভাবে?

তুন মিয়াত নাইং: আমি এতে খুব বিরক্তি বোধ করি না। আমরা যখন এ সমস্যার সমাধান করব, তখন সঠিক অবস্থানে থাকব। আমাদের ব্যাখ্যা করার সুযোগ আছে। তবে পদক্ষেপের ক্ষেত্রে আমরা সতর্ক, যেহেতু আমরা মাতৃভূমিতে ফেরত এসেছি। এই বিপ্লবের প্রভাব জনগণের ওপর কীভাবে পড়বে, তাও ভেবেছি। আমরা এখানেই আছি; কোথাও যাচ্ছি না। যারা আইনের আশ্রয় নিয়ে আমাদের সমস্যা করতে চায়, তারা দীর্ঘদিন ধরেই শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনের কথা বলে আসছে। প্রশ্ন হলো, বর্তমান পরিস্থিতিতে কীভাবে তারা মিয়ানমারে ফিরবে? ন্যায়ের কথা যদি তারা বলে, তবে তারা আমাদের নিজস্ব আরাকানের জনগণের বিপ্লবী সরকারের আদালতে মামলা করে সত্য বের করুক। এরপর না হয় আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে পারে।

ইরাবতী: আপনি কি এটা অস্বীকার করবেন যে, আরাকান আর্মি গত ৪০-৫০ বছর ধরে মুসলমানদের মানবাধিকার অস্বীকার করেছে?

তুন মিয়াত নাইং: কিছু ঘটনা ঘটেছে, যেখানে আমাদের কিছু সৈনিক আইন লঙ্ঘন করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আমরা তাদের শাস্তি দিয়েছি। আমাদের কিছু সৈনিক আছে, যারা অপরাধ করে পরে আর্মিতে চলে গেছে। কিন্তু আমরা কাউকে সম্মিলিত শাস্তি দিইনি। এমনটা চলতে থাকলে কীভাবে আমরা আমাদের ভিশন বাস্তবায়ন করব? শান্তি ও স্থিতিশীলতা ব্যতীত আমরা উন্নতি করতে পারব না। সে জন্য আমরা সতর্ক। আমরা মানবাধিকর লঙ্ঘন করতে পারি না কিংবা বিষয়টিকে নীতিগতভাবেও সমর্থন দিচ্ছি না। কিন্তু আমরা যখন তাদের বিরুদ্ধ লড়াই করি, যারা জান্তা কর্তৃক প্রশিক্ষিত, সেটা যুদ্ধ। সামরিক জান্তা তাদের বাধা দিতে এবং তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিতে বলেছে। এসব যারা করেছে, আমরা তাদের গ্রেপ্তার করি। আইনের মধ্যে থেকেই আমাদের সব করতে হবে। আমাদের যেসব অফিসার আইন ভঙ্গ করেছে, তাদের আমরা শাস্তি দিয়েছি।

ইরাবতী: মিয়ানমারের সামরিক জান্তা আরাকান আর্মির ওপর হামলা চালাতে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে দু-তিন বছর ধরে। তাদের ওপর কি জান্তা এখনও নির্ভর করতে পারছে?

তুন মিয়াত নাইং: এটা ভয়ংকর জুয়া। জান্তা এর মাধ্যমে স্বল্প সময়ের জন্য কিছু অর্জন করতে পেরেছে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এ অঞ্চলে সংকট তৈরি করেছে। রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীকে আমাদের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করছে। আমাদের অনুসন্ধান বলছে, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সীমান্তজুড়ে সক্রিয়; অবশ্য তাদের সবাইকে এখনও অস্ত্র দেওয়া হয়নি।

ইরাবতী: রাখাইন রাজ্যের বুথিডং ও মংডুতে এখনও যেসব রোহিঙ্গা আছে এবং বাইরের যারা রোহিঙ্গা তাদের মধ্যে মতের মিল দেখছেন, নাকি তাদের মধ্যে মতের অমিল আছে?

তুন মিয়াত নাইং: তাদের মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ গ্যাপ আছে। রাখাইনে যেসব রোহিঙ্গা বাস করছে, তারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলের অনেকেই বর্তমানে চলমান শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিকে স্বাগত জানাচ্ছেন। তবে পাহাড় ও জঙ্গলের ভেতরের কিছু গ্রামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রভাব রয়েছে। ফলে আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি না, তাদের প্রকৃত মানসিকতা কী। এটি যেন এক ধরনের স্তরযুক্ত কেক– প্রতিটি স্তরে আলাদা চিন্তা, আর তা সময়ভেদে পরিবর্তিত হয়। সেখানে অনেকেই রয়েছেন, যারা শান্তিপূর্ণভাবে রাখাইন রাজ্যে ফিরতে চান এবং অনেকেই ইতোমধ্যে ফিরে এসেছেন। কিন্তু অনেক এলাকা ও প্রতিষ্ঠানে রাখাইনবিরোধী চিন্তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই তারা আমাদের শত্রু ভাবছে। আমরা নিজেরাই এসব ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি– এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

ইরাবতী: আপনি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের কথা বলছেন?

তুন মিয়াত নাইং: বাংলাদেশে অবস্থান নেওয়া অনেক শরণার্থী শান্তিপূর্ণভাবে ফিরতে চায় এবং বাস্তবে অনেকেই ফিরে এসেছে। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে তাদের কথা বলা হয় না। জাতিসংঘ থেকে অনেক সময় আমাদের বলা হয় রাখাইনে এনজিও বা তদন্তকারী দল প্রবেশ করতে দিতে। অবশ্যই এটা করা সম্ভব, তবে তা যেন হয় এমন মানুষ, যারা বিশ্বাসযোগ্য। তাই আমরা আগে তাদের তদন্তকারীদের যাচাই করতে চাই। এই বাস্তবতাই দেখায়, পরিস্থিতি কতটা জটিল। এ কারণেই শরণার্থী শিবিরে থাকা মানুষের মানসিকতা ও সমর্থন রাখাইনে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের থেকে আলাদা।

আরও পড়ুন...

জনপ্রিয়

সর্বশেষ খবর