সৌদি-পাকিস্তান চুক্তি তবে কি ভারত কোণঠাসা হতে যাচ্ছে
সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মাঝে সদ্য যে সামরিক চুক্তি হয়েছে, তাকে ‘ইসলামী ন্যাটোর’ ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে দেখছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একটি অংশ। শুধু তাই নয়, চুক্তিটিকে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে ‘বিপদ সংকেত’ বলেও উল্লেখ করেছেন তাঁরা। ইসলামাবাদ ও রিয়াদের সমঝোতা আটকাতে ব্যর্থ হওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের পররাষ্ট্র নীতির চরম ব্যর্থতা বলেই মনে করা হয়। বিশ্লেষকদের কেউ কেউ আবার একে ভারতের গোয়েন্দা ব্যর্থতা হিসেবেও দেখছেন। তাঁদের দাবি সৌদি ও পাকিস্তান যে গোপনে গোপনে এধরনের একটি সামরিক চুক্তির নীলনকশা তৈরি করে ফেলেছে, তার কিছুই জানা ছিল না নয়াদিল্লির। ফলে কোনো বাধা কিংবা চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি নয়াদিল্লি। বরং পুরো বিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে যাতে এমন বিবৃতি দিতে বাধ্য হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবত পারে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।অপারেশন সিঁদুরের পরে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের আশঙ্কা আরও বেড়েছে। ভারত সিন্ধু চুক্তি বাতিল করার পর একাধিকবার পারমাণবিক হামলার হুমকি দিয়েছে পাকিস্তান। এছাড়াও গুজরাটের কচ্ছের রণ এলাকায় দেশ দুটির সীমান্ত বিবাদ রয়েছে। গত ৯ই সেপ্টেম্বর কাতারের রাজধানী দোহায় বোমা হামলা চালায় ইসরাইলী বাহিনী। এর পরে ৭২ ঘণ্টায় লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন পর্যায়ক্রমে হামলা করে ইসরাইলি বাহিনী। এরপরই গত ১৭এ সেপ্টেম্বর সামরিক চুক্তি করে সৌদি ও পাকিস্তান।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, এই সমঝোতা চুক্তিকে কেন্দ্র করে ভবিষ্যতে ‘ইসলামী ন্যাটো’ গড়ে উঠলে মধ্যপ্রাচ্যে শেষ হবে পারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাধান্য। এমনকি মুছেও যেতে পারে ইসরাইলের সকল প্রকার অস্তিত্ব।
স্বাধীনতার বার্তা/মেবি
