মার্কিন হামলায় ইরানের পরমাণু স্থাপনার মারত্মক কোনো ক্ষতি হয়নি
ইরানের সরকার সদ্য স্বীকার করেছে যে, তাদের অভ্যন্তরে তিনটি পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন হামলা ঘটেছে। মার্কিন যুদ্ধবিমান ৩৭ ঘন্টা আকাশপথে উড়ে এই হামলা পরিচালনা করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে আকাশপথে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বার্তায় জানিয়েছিলেন, ফর্দো পরমাণু স্থাপনা নিঃশেষ করে দেয়া হয়েছে।
“এই হামলায় ফর্দো পরমাণু স্থাপনার তেমন মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়ন।”
কিন্তু, ইরান গভর্নমেন্টের পার্লামেন্ট সদস্য মানান রাইসি বলেছেন, “এই হামলায় ফর্দো পরমাণু স্থাপনার তেমন মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়ন।” উক্ত অভিযানে ফর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানসহ বেশ কয়েকটি স্থানে মার্কিন বোমারু বিমান হামলা চালায়। ইরান সরকার যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এই হামলার বিরুদ্ধে হুশিয়ারি জারি করেছে। তবে, এ হামলায় পরমাণু অস্ত্রের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে তেমন নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।
হামলার পর, ইরানের এই অঞ্চলগুলোতে পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে নি। জাতিসংঘের পারমাণবিক নজরদারি সংস্থা আইএইএ(IAEA) এর তথ্যমতে, এ হামলায় ইরানের এই অঞ্চলগুলোতে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বাড়েনি। ফর্দো পারমাণবিক স্থাপনা অনেক আগেই তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে খালি করা হয়েছে বলে একটি ইরানি সূত্র দাবি করেছে।
পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাগের গালিবাফও একই দাবি করেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি মহাকাশপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাক্সার এর স্যাটেলাইট ছবি থেকেও পারমাণবিক বিস্ফোরণের মত আলামত পাওয়া যায়নি। তাই, পরমাণু কেন্দ্রের ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ার ব্যাপার সত্যতা মিলেছে।