লিবিয়ার উপকূলে নৌকাডুবে মৃত্যুমুখে ৪২ জন
লিবিয়ার উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টারত অভিবাসীবাহী এক নৌকাডুবির ঘটনায় ৪২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সবার মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
বুধবার (১২ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে আইওএম জানিয়েছে, গত ৮ নভেম্বর লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ছয় দিন ধরে সমুদ্রে ভেসে থাকার পর কেবল ৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের মধ্যে চার জন সুদানি, দুই জন নাইজেরিয়ান এবং একজন ক্যামেরুনের নাগরিক। আরও ৪২ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন এবং তারা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বেঁচে ফেরা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, নৌকাটিতে ৪৭ জন পুরুষ ও দুই নারীসহ মোট ৪৯ জন আরোহী ছিলেন। ৩ নভেম্বর ভোরের দিকে (আনুমানিক রাত ৩টা) লিবিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জুওয়ারা থেকে যাত্রা শুরু করেছিলো নৌকাটি।
আইওএম-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যাত্রা শুরুর প্রায় ছয় ঘণ্টা পর প্রবল ঢেউয়ের কারণে নৌকার ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এতে নৌকাটি উল্টে যায় এবং সব যাত্রী নৌকা থেকে ছিটকে পড়েন। নিখোঁজদের মধ্যে বেশিরভাগই সুদানের নাগরিক।
আইওএম জানিয়েছে, নিখোঁজদের মধ্যে ২৯ জন সুদানি, ৮জন সোমালি, ৩ জন ক্যামেরুন এবং দুজন নাইজেরিয়ান নাগরিক রয়েছেন।’
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, লিবিয়া থেকে ইউরোপ পৌঁছানোর চেষ্টায় চলতি বছর এই সমুদ্রপথে অন্তত এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন।
অন্যদিকে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) তথ্যমতে, চলতি বছর ভূমধ্যসাগর এবং পশ্চিম আফ্রিকার আটলান্টিক রুটে মোট এক হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন।
আইওএম-এর ‘মিসিং মাইগ্রেন্টস প্রজেক্ট’ অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে ভূমধ্যসাগরে প্রায় ৩৩ হাজার অভিবাসী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন।
এদিকে, বুধবার জেনেভায় এনজিও মেদসা সঁ ফ্রন্টিয়ের (এমএসএফ) ঘোষণা করেছে, তারা সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরে তাদের অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম আবার শুরু করছে। ইতালির সীমাবদ্ধতামূলক আইন ও নীতির কারণে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে এই কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস
