কিরগিজস্তান; ১০ জুনের মধ্যে বৈধকরণ না করালে কঠোর পদক্ষেপ” — অনিয়মিত অভিবাসীদের প্রতি তাশিয়েভের সতর্কবার্তা
১ মে কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (ГКНБ) প্রধান কামচিবেক তাশিয়েভের সভাপতিত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন, যেখানে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল—দেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের অবৈধ অভিবাসন সংক্রান্ত সমস্যা।
তাশিয়েভের বক্তব্য:
তাশিয়েভ উল্লেখ করেন, “দেশের সামাজিক-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, জনগণের উদারতা, শিক্ষাখাতের সাশ্রয়ী ব্যয় এবং দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের সাফল্যের কারণে কিরগিজস্তানে পর্যটক, শিক্ষার্থী ও শ্রমিকের আগমন বেড়েছে।”
২০২৪ সালে প্রবেশকারীদের পরিসংখ্যান:
- পর্যটক: ৬১ হাজার
- শিক্ষার্থী: ৩০ হাজার
- নিবন্ধিত শ্রমিক: ১২ হাজার
- অন্যান্য (পারিবারিক, ধর্মীয়, ইত্যাদি):১০ হাজার
- অনিয়মিত অভিবাসী: প্রায় ৫ হাজার
অপব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগ:
তাশিয়েভের মতে, কিছু বিদেশি ও প্রতিষ্ঠান ভিসা নীতির সুবিধা নিয়ে শিক্ষা বা পর্যটনের অজুহাতে প্রবেশ করে অবৈধ কাজে নিয়োজিত হয়। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানগুলি প্রায়ই ভিসা নবায়ন না করে বিদেশিদকে মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় রেখে দেয়, যা অপরাধ ও সামাজিক অস্থিরতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তিনি আমন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর আর্থিক লোভকেও দায়ী করেন।
নতুন অভিবাসন নীতি (১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে):
- অভিবাসন সংক্রান্ত ক্ষমতা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন।
- বিদেশি শ্রমিক কোটা কমিটি বিলুপ্ত।
- ই-ভিসা পোর্টালের মাধ্যমে ওয়ান-স্টপ সার্ভিস চালু।
- ভিসা লঙ্ঘনে জরিমানা বৃদ্ধি:
- ১ মাস পর্যন্ত: ৫,৫০০ সোম
- ১–৩ মাস: ১০,০০০ সোম
- ৩–৬ মাস: ১৫,০০০ সোম
- ৬–১২ মাস: ১৭,৫০০ সোম
- ১ বছরের বেশি: ২০,০০০ সোম
- প্রতিষ্ঠানের জন্য সর্বোচ্চ: ৩০,০০০ সোম
- অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলায় ২৮ কোটি সোম বরাদ্দ।
নির্দেশনা:
১. ১০ জুন ২০২৫-এর মধ্যে সকল অনিয়মিত বিদেশিকে বৈধতা নিশ্চিত বা দেশ ত্যাগ করতে হবে।
২. গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বহুভাষিক প্রচারণা চালানো হবে।
৩. ১০ জুনের পর **“অপারেশন নেলেগাল”** নামে কঠোর অভিযান শুরু হবে, যাতে প্রশাসনিক ও ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৪. ГКНБ-এর আঞ্চলিক শাখাগুলোকে নজরদারি জোরদার করতে বলা হয়েছে।