সর্বশেষ আন্তর্জাতিক রাজনীতি অর্থনীতি দেশ

চীন তার সকল নাগরিকদের জাপান ভ্রমণ হতে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে। তাইওয়ান নিয়ে জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রীর একটি মন্তব্যের জেরে এই পরামর্শ দিলো বেইজিং। গত ৭ নভেম্বর জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি পার্লামেন্টে বলেছেন, তাইওয়ানে যদি শক্তি প্রয়োগ অথবা সশস্ত্র হামলা হয় তবে জাপান সামরিক হস্তক্ষেপ করতে পারে।

জাপানি প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যের পরে নানা বিতর্ক শুরু হয়েছে। শুক্রবার জাপানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে বেইজিং। এরপরে টোকিও ও চীনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে।

শুক্রবার রাতে জাপানে অবস্থিত চীনা দূতাবাস তাদের উইচ্যাট পোস্টে চীনা নাগরিকদের সতর্ক করে বলেছেন, তাইওয়ান বিষয়ে জাপানি নেতাদের প্রকাশ্য উসকানিমূলক মন্তব্য দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের পরিবেশকে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

পোস্টটিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে জাপানে চীনা নাগরিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও জীবনের জন্য বেশ ঝুঁকি তৈরি করছে।

৭ নভেম্বর জাপানের প্রধানমন্ত্রী তাকাইচি সানায়ে বলেছেন, তাইওয়ানে জরুরি অবস্থা তৈরি করা হলে, বিশেষ করে যদি সেখানে বলপ্রয়োগ হয়

ও সেটি জাপানের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, তবে জাপান আত্মরক্ষার জন্য তার বাহিনী মোতায়েন করতে পারে।

বেইজিং জোর দিয়ে বলেছেন, তাইওয়ান তাদের ভূখণ্ডের অংশ ও প্রয়োজন হলে বলপ্রয়োগ করে এ স্ব-শাসিত দ্বীপটির নিয়ন্ত্রণ দখলে নিতে হতে পারে। তাইওয়ান ১৯৪৫ সাল অব্দি জাপানের দখলে ছিল বলে জানা যায়।

স্বাধীনতার বার্তা / মেবি

আরও পড়ুন...

জনপ্রিয়

সর্বশেষ খবর