ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেছেন, গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ফিলিস্তিনিদের কোনো প্রকার উপকারে আসবে না। আমার মনে হয়, এই বিষয়গুলো ইতালির সাধারণ মানুষের জন্য অনেক ভোগান্তি ডেকে আনবে বলে।

ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে জিম্মি ইতালিয় নাগরিকদের সম্পর্কে তিনি বলেছেন, অবশ্যই আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করব যাতে জিম্মিরা অতিদ্রুত ইতালিতে ফিরে আসতে পারে।

ফ্লোটিলা আয়োজকদের ভাষ্য, মানবিক সাহায্যবাহী নৌবহরকে ইসরাইলি বাহিনী আটকায়। গাজা উপকূল হতে অন্তত ১৩০ কিলোমিটার দূরে তারা জাহাজগুলোতে ওঠে ও যোগাযোগ ব্যবস্থা কেটে দেয়, সংকেতও জ্যাম করে দেয়, যাতে সাহায্যের জন্য কোনো প্রকার সংকেত না দিতে পারি। প্রথম ধাপে প্রায় ১৩টি জাহাজকে সমুদ্রে আটকানো হয়।প্রায় ৩০টি জাহাজ ইসরাইলি বাহিনীর বাধা এড়িয়ে গাজার উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে থাকে। কিন্ত একে একে জাহাজগুলো আটকে দেওয়া শুরু করে ইসারাইলি বাহিনী। কর্মীদের আটক করার কারণে বুধবার রাতে রোম, বুয়েনস আইরেস ও ইস্তাম্বুলসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করা হয়।

এক বিবৃতিতে ফ্লোটিলা আয়োজকরা জানিয়েছে, ‘বুধবার আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টার দিকে আলমা, সিরিয়াস ও আদারা নামের জাহাজসহ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বহু বোট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরাইলি বাহিনী বেআইনিভাবে আটক করে।