ইসরায়েলে গাজা যুদ্ধ নিয়ে বাড়ছে বিরোধিতা: রাজনৈতিক-সামাজিক স্তরে তীব্র প্রতিক্রিয়া
গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান যখন আরও সহিংস রূপ নিচ্ছে, তখন দেশের অভ্যন্তরেই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঢেউ ক্রমেই জোরালো হয়ে উঠছে। যুদ্ধ পরিচালনার পদ্ধতি, মানবিক বিপর্যয় এবং জিম্মিদের মুক্তির প্রশ্নে ইসরায়েলি সমাজ এখন দ্বিধাবিভক্ত।
যুদ্ধবিরোধী কণ্ঠে ইসরায়েলি রাজনীতিকরা
সাবেক আইডিএফ উপ-প্রধান এবং বামপন্থী রাজনীতিবিদ ইয়ার গোলান ইসরায়েলি রেডিওতে এক বিবৃতিতে বলেন,“একটি সুস্থ রাষ্ট্র বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে না, শখের বশে শিশু হত্যা করে না এবং জনসংখ্যা হ্রাস করার পরিকল্পনা করে না।” তিনি সতর্ক করে বলেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে ইসরায়েল দক্ষিণ আফ্রিকার মতো আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে হয়ে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এ বক্তব্যকে “রক্তপাতের অপবাদ” বলে প্রত্যাখ্যান করলেও, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোশে ইয়ালন আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, “এটি কোনো শখ নয়, এটি সরকারি নীতি। আর এই নীতি আমাদের ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।”
হামাসের হামলার পর ১৯ মাস পেরিয়ে গেছে। শুরুতে জাতীয় ঐক্য থাকলেও এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। চ্যানেল ১২-এর সাম্প্রতিক এক জরিপ বলছে,
৬১% মানুষ যুদ্ধ থামাতে চায়
মাত্র ২৫% গাজা দখলের পক্ষে
সাবেক জিম্মি আলোচক গেরশন বাসকিন জানান,
“জিম্মিদের অধিকাংশ পরিবার এখন যুদ্ধ বন্ধ করে চুক্তির মাধ্যমে মুক্তির পক্ষে।”
রাস্তায় প্রতিবাদ, যুদ্ধবিরোধী সংগঠনের মিছিল
রবিবার স্দেরোট শহর থেকে গাজার সীমান্তে প্রায় ৫০০ মানুষ মিছিল করার চেষ্টা করে। তাদের দাবি – যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি।‘স্ট্যান্ডিং টুগেদার’ নামের যুদ্ধবিরোধী সংগঠনের নেতৃত্বে মিছিলে অংশ নেয় ইহুদি ও ফিলিস্তিনি নাগরিকরা। পুলিশের বাধায় আটজন সহ গ্রেপ্তার হন সংগঠনের নেতা অ্যালন-লি গ্রিন।
তিনি গৃহবন্দী অবস্থায় বলেন,
“জনগণের মধ্যে জাগরণ শুরু হয়েছে, আরও বেশি মানুষ এখন অবস্থান নিচ্ছে।”
“এই যুদ্ধ কেবল ফিলিস্তিনিদের জন্যই নয়, ইসরায়েলি জিম্মি ও সেনাদের জীবনকেও হুমকির মুখে ফেলছে।”
এপ্রিলে সেনাবাহিনীর সব শাখার হাজার হাজার রিজার্ভ সদস্য সরকারকে চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধ থামানোর দাবি জানিয়ে খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেন। সবাই একমত নন। কেরেম শালোম ক্রসিংয়ে এক প্রতিবাদকারী গিডিয়ন হাশাভিট বলেন,
সোমবার রাতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা এক যৌথ বিবৃতিতে গাজার মানবিক পরিস্থিতির উন্নতি না হলে “আরও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ” নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে