গাজায় ইসরায়েলের ‘অভূতপূর্ব’ অভিযান শুরু, খান ইউনিসে ব্যাপক সরে যাওয়ার নির্দেশ
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) গাজার খান ইউনিস অঞ্চলের বাসিন্দাদের ‘অভূতপূর্ব আক্রমণ’-এর পূর্বাভাস দিয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এটি সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলি বাহিনীর দেওয়া সবচেয়ে বড় সরে যাওয়ার আদেশগুলোর একটি।
অপারেশন গিডিয়নের রথ নামে নতুন এক অভিযানে ইতোমধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ১০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার হাসপাতালগুলো। আইডিএফ জানিয়েছে, তারা অঞ্চলটি “বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্র” হিসেবে বিবেচনা করছে এবং স্থানীয়দের আল-মাওয়াসি এলাকায় চলে যেতে বলেছে, যেখানে আশ্রয়-পরিকাঠামো নেই বলেই অভিযোগ।
১৩ বছরের তাসনিম বারাকেহ বলেন, “আমার বাবা খাবারের সন্ধানে ছিলেন, আমরা তাকে ছাড়াই চলে এসেছি। জানি না তিনি কোথায়। ঈশ্বর, শুধু আমার বাবাকে ফিরিয়ে দিন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তারা “পুরো গাজার নিয়ন্ত্রণ” নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আইডিএফ দাবি করেছে, তারা গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নাসের হাসপাতালের মেডিকেল গুদামে রাতভর বোমা বর্ষণ করা হয়েছে। ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা মেডিকেল এইড ফর ফিলিস্তিনিস বলেছে, এতে তাদের কার্যক্রম কার্যত ধ্বংস হয়েছে।ফিলিস্তিনি মিডিয়া জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিশেষ বাহিনী নারীদের পোশাকে ছদ্মবেশে খান ইউনিসে ঢুকে এক ব্যক্তিকে হত্যা এবং তার স্ত্রী-সন্তানকে গ্রেপ্তার করেছে।
অভিযানের লক্ষ্য হামাসকে পরাজিত করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা হলেও, জিম্মিদের পরিবারের প্রতিনিধিরা বলছে, এই হামলা জিম্মিদের জন্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
ইসরায়েল জানায়, গাজায় “অন্য কোনও অনাহার সংকট না ঘটে” তা নিশ্চিত করতে ন্যূনতম পরিমাণে খাদ্য প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ১,২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জন জিম্মি হয়েছিল। এখনও প্রায় ৫৮ জন জিম্মি গাজায় রয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৩ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।