আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিরুদ্ধে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। যদি এই পদক্ষেপ কার্যকর হয় তবে আদালতের দৈনন্দিন কার্যক্রম ঝুঁকির মধ্যে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওয়াশিংটন আইসিসির কয়েকজন বিচারক ও প্রসিকিউটরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এখন আইসিসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।

এক সংবাদমাধ্যম জানায়, আইসিসির বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে আশা করা যায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার প্রাধান্য নিয়ে আলোচনার জন্য আদালতের কর্মকর্তারা অভ্যন্তরীণ জরুরী বৈঠক করেছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র দোষারোপ করেন, আইসিসি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলি কর্মকর্তাদের ওপর ‘অনধিকার চর্চা’ দেখাচ্ছে। তিনি জানান, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত আরো পদক্ষেপ নেবে।’

তিনি আরও জানান, ‘আইসিসির কাঠামোগত পরিবর্তন আনার সুযোগ রয়েছে। যতক্ষণ আইসিসি আমাদের জাতীয় স্বার্থের হুমকি হিসেবে কাজ করবে, ততক্ষণ আমাদের সেনা সদস্য ও অন্যদের সুরক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

আদালতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হলে ব্যাংকিং সেবা, সফটওয়্যার ব্যবহার এমনকি কর্মীদের বেতন পরিশোধেও সমস্যা হতে পারে বলে ধারণা করা হয়। প্রত্যাশিত ঝুঁকি এড়াতে আদালতের কর্মীদের ২০২৫ সালের বাকি সময়ের বেতন আগাম পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। পাশাপাশি বিকল্প ব্যাংকিং ব্যবস্থা এবং সফটওয়্যার সরবরাহকারীর খোঁজ করছে আইসিসি।

হেগ-প্রধান এই আদালত সদ্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্ট এবং হামাসের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে বলে জানা যায়।