নেতানিয়াহুর ঘোষণা, গাজার ‘সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ’ নেবে ইসরায়েল
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, সর্বশেষ সামরিক অভিযান শেষে গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণরূপে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। গত ডিসেম্বরের পর প্রথমবারের মতো আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি যুদ্ধবিরতির জন্য কয়েকটি কঠোর শর্ত উল্লেখ করেন।
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় গত কয়েকদিনে শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। কেবল বুধবার ভোর থেকে অন্তত ৮২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। গাজায় অবরোধ জারি থাকায় মানবিক সংকট তীব্র হয়েছে: দুর্ভিক্ষের প্রভাব বাড়ছে এবং মানবিক সহায়তা সরবরাহের জন্য প্রবেশাধিকার প্রায় শূন্যের কোটায়। সীমিত সংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাকই কেবল প্রবেশ করতে পারছে।
নেতানিয়াহুর শর্তাবলি:
১. হামাসের কাছে আটক সব ইসরায়েলি বন্দির নিঃশর্ত মুক্তি।
২. হামাসের সমস্ত অস্ত্র সমর্পণ ও সামরিক কাঠামো ভেঙে দেওয়া।
৩. হামাসের নেতৃত্বকে নির্বাসনে প্রেরণ।
৪. ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়নের প্রস্তাব বাস্তবায়ন।
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের পরিকল্পনায় গাজা উপত্যকাকে যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে "মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা"-তে রূপান্তরের কথা বলা হয়েছে। নেতানিয়াহু তার শর্তাবলিতে প্রথমবারের মতো এই বিতর্কিত প্রস্তাবকে যুক্ত করেছেন, যা আন্তর্জাতিক মহল ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে "জাতিগত নিধনযজ্ঞ" বলে সমালোচনা করতে উৎসাহিত করেছে।
নেতানিয়াহু পরিষ্কার জানান, "সাময়িক যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের প্রস্তাব আসলে ইসরায়েল তা বিবেচনা করবে।" তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, "গাজায় মানবিক সংকট যেন আমাদের অপারেশনাল স্বাধীনতাকে প্রভাবিত না করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।" এ প্রসঙ্গে তিনি গাজায় সীমিত ত্রাণ প্রবেশের সিদ্ধান্ত এবং হামাসের হস্তক্ষেপ রোধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে গৃহীত খাদ্যবিতরণ পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন। অন্যদিকে, হামাস পক্ষ দাবি করেছে, ত্রাণ বিতরণে তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ বা হস্তক্ষেপ নেই।