গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত আরও ৮৫
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে আরও ৮৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি স্টেডিয়ামে আশ্রয় নেওয়া নিরীহ পরিবারগুলোর ওপর চালানো হামলায় প্রায় ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
নিহতদের মাঝে সাত নারী ও দুই শিশু রয়েছে বলে জানা যায়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধবিরতির আহ্বান দেওয়া সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় আক্রমণ চলমান রেখেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হতে চলমান এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৫ হাজার ৪১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। ধারণা করা যাচ্ছে, আরও বহু ফিলিস্তিনি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
এদিকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে গাজার যুদ্ধ ইসরায়েলবিরোধী তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, “যারা শিশু হত্যার মাধ্যমে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে, তারা মানবতার যোগ্য নয়।”
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট তৎক্ষণাৎ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “আমরা গাজার জনগণের সাথে আছি। এই যুদ্ধ এখনই স্থগিত করতে হবে।”
নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য নীরব আলোচনায় উন্নতি হচ্ছে।পক্ষান্তরে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, “ওয়াশিংটন আশাবাদী এবং আত্মবিশ্বাসী” আগামী কয়েক দিনের মাঝে অগ্রগতির ঘোষণা আসবে। তিনি আরও জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া ২১ দফা শান্তি পরিকল্পনা বিশ্বনেতাদের হাতে পৌঁছে গেছে।
তবে পূর্ববর্তী শান্তি প্রচেষ্টা বারবার বিনষ্ট করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে তিনি দোহায় হামাস নেতাদের ওপর হামলার নির্দেশ প্রদান করেন।ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব নিয়ে হামাসের ওই নেতারা আলোচনা করছিলেন।
এর পূর্বে গত ১৮ মার্চ নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়ে গাজায় তীব্র বোমাবর্ষণ শুরু করেন এবং পূর্ণাঙ্গ অবরোধ প্রয়োগ করেন।যার ফলে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় এবং অনেকে না খেয়ে মারা যান। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।