ইসরাইলি অমানবিকতায় শিশু পঙ্গুত্বের শীর্ষে গাজা
গাজায় ইসরাইলের অমানবিক অত্যাচারের ৭২০তম দিন চলমান। যত দিন যাচ্ছে, তত হামলার তীব্রতা বাড়ছে। এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৬৫ হাজারেরও বেশি। যার মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি। আহতের সংখ্যাও প্রায় দেড় লাখের বেশি। যার মধ্যে অনেক শিশুই হারিয়েছে শরীরের এক অথবা একাধিক অঙ্গ।
এই অবস্থায় বিশ্বজুড়ে এককভাবে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক অঙ্গহীন বা পঙ্গু শিশুর আবাসস্থল এখন গড়ে উঠেছে গাজা। ইউএনআরডব্লিউএ সংস্থার কমিশনার জেনারেল প্রধান ফিলিপ লাজারিনি তার সামাজিকমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর হতে চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত গাজায় মোট ৪০ হাজারের মতো শিশুর অঙ্গচ্ছেদের ঘটনা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
শিশুদের মধ্যে রয়েছে উদ্বেগ, দুঃস্বপ্ন, আগ্রাসন এবং ভয়। অনেক শিশুকে ভিক্ষা, লুটপাট বা শিশুশ্রমে বাধ্য করা হচ্ছে। এ যেন এক হারানো শৈশব।
নিউইয়র্কে নেতানিয়াহুর হোটেলের সামনে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ।
এই যুদ্ধ যত দীর্ঘস্থায়ী হবে, শিশুরা তত তাদের চলমান ও গভীরতর ট্রমা নিয়ে বেড়ে উঠবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও ক্ষতিকর হবে বলে ধারণা করা যায়। তাই অন্তত শিশুদের জন্য হলেও দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান তিনি।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও গাজায় অনবরত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। দখলদার বাহিনীর হামলায় গাজায় গত একদিনে কমপক্ষে ৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
বুধবার রাতভর গাজায় তীব্র হামলা চালায় ইসরাইল। এর ফলে কমপক্ষে ৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যা মঙ্গলবারের তুলনায় দ্বিগুণেরও অধিক। গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি স্টেডিয়ামে আশ্রয় নেওয়া অসহায় ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। এতে প্রায় ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে সাতজন নারী ও দুই শিশু রয়েছে। ইসরাইলি আক্রমণ হতে পালিয়ে আসা ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিলেন আল-আহলি স্টেডিয়ামে। তারপরও ইসরাইলি আক্রমণ হতে রেহাই মেলেনি তাদের। সেখানেও হামলা চালায় তারা।