গাজায় ঈদের পরদিনই ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭৫ ফিলিস্তিনি, একই পরিবারের ১৬ জনসহ
মূল তথ্য এক নজরে
নিহত: গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৭৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত
ঈদের দিন (৭ জুন): ৪২ জন
পরদিন (৮ জুন): ৩৩ জন
নারী ও শিশু হতাহত: নিহতদের মধ্যে ৩২ শিশু এবং একই পরিবারের ১৬ জন সদস্য
ত্রাণ সংকট: যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত জিএইচএফ (GHF) গাজায় খাদ্য বিতরণ স্থগিত করেছে
ইসরায়েলি হামলায় ত্রাণকর্মী ও বেসামরিক নাগরিক নিহত
হামলার বিবরণ
১. স্থান ও সময়
৭ জুন (ঈদের দিন):
খান ইউনুস ও আল-শিফা হাসপাতাল এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা
৮ জুন (পরদিন):
রাফাহ ও আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে গোলাবর্ষণ
২. হাসপাতালে মরদেহের পরিসংখ্যান
নাসের হাসপাতাল: ১৬ জন
আল-শিফা হাসপাতাল: ১৬ জন
আল-আকসা শহীদ হাসপাতাল: ৫ জন
ইসরায়েলের বক্তব্য ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
ইসরায়েলের দাবি: হামলা চালানো হয় হামাসের কমান্ডার আসাদ আবু শরিয়ার অবস্থানে
বাস্তবতা: স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, নিহতদের অন্তত ৮০ শতাংশ বেসামরিক নাগরিক
আহত: শতাধিক ব্যক্তি
জাতিসংঘ: ইসরায়েলি অভিযানকে "আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগযোগ্য" বলে অভিহিত করেছে
প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ
আবু ওমার (আল-শাতি শিবিরের বাসিন্দা):
“ধ্বংসস্তূপ থেকে শিশুর মরদেহ তুলতে গিয়ে দেখি তার হাতে এখনও ঈদের নতুন জামাটি ধরা...”
ড. ফিরাস আল-মুগান্নি (ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট):
“১৮টি পরিবারের ৪৭ সদস্যকে উদ্ধার করেছি। এটা যুদ্ধ নয়—এটা এক নিষ্ঠুর গণহত্যা।”
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের ভাষ্য
আল জাজিরা: "গাজার ঈদ রক্তে রঞ্জিত"
রয়টার্স: "২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত নিহত ৫৪,৬৭৭+"
এএফপি: "গাজায় যুদ্ধের মধ্যেই চতুর্থ ঈদ উদযাপন"
পটভূমি ও পরিসংখ্যান
মোট নিহত (অক্টোবর ২০২৩–জুন ২০২৫): ৫৪,৬৭৭
এর মধ্যে ৫৬% নারী ও শিশু
ত্রাণ সংকট:
১১৫ জন ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত
GHF ও UNRWA-এর একাধিক বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ বা স্থগিত
সম্পাদকীয় মন্তব্য
গাজায় ঈদের দিনে সংঘটিত রক্তপাত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
জাতিসংঘ, ওআইসি বা অন্যান্য প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর পক্ষ থেকে এখনো কার্যকর কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ দেখা যায়নি। মানবাধিকার সংস্থাগুলো একে “ঐতিহাসিক গণহত্যার” সঙ্গে তুলনা করছে।