তেহরানে আবার জীবন, কিন্তু হৃদয়ে রয়ে গেছে রক্তাক্ত স্মৃতি
ইসরায়েলের ১২ দিনের ভয়াবহ বিমান হামলার পর ইরানের রাজধানী তেহরানে ফিরছে মানুষ। অন্তত ৬১০ জন নিহত ও হাজারো আহত এই সংঘর্ষে, যার বেশিরভাগই ছিলেন বেসামরিক নাগরিক।
যুদ্ধবিরতির পর মানুষ ফিরছেন নিজেদের বাসায়,কেউ ক্ষতবিক্ষত ঘরে, কেউ পরিপূর্ণ ধ্বংসের মুখে। তবু ঘরের মেঝেতে পা রাখার অনুভূতি তাদের কাছে যেন ‘স্বর্গের মতো।
৩৩ বছর বয়সী নিকা বলেন, আত্মীয়ের ঘরে ১১ জনের সঙ্গে থেকেছি, কিন্তু নিজের ঘরের নির্জনতাই আমার শান্তি। অন্যদিকে শিক্ষার্থী সাবা জানান, বন্ধুরা একে একে শহর ছেড়ে যাচ্ছিল,আমি একা হয়ে গিয়েছিলাম। রাতে বোমার শব্দ আমাকে ভেঙে দিয়েছিল।
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও দুই পক্ষ পরস্পরকে লঙ্ঘনের অভিযোগ করছে। বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী কেয়ভান সাকেত জানান, তার বাড়িতে বোমা পড়লেও বিস্ফোরণ হয়নি, কিন্তু ঘরের অধিকাংশ জিনিস ধ্বংস হয়েছে। তিনি বলেন, যুদ্ধ হলো মানবজাতির সবচেয়ে কুৎসিত সৃষ্টি।
রাস্তায় আবারও জীবন ফিরছে, দোকান খুলছে, মানুষ কাজের জায়গায় ফিরছে। তবুও আতঙ্ক রয়ে গেছে এই শান্তি কি থাকবে, নাকি আবারও ঘর ছাড়তে হবে?
আল জাজিরা