আজ গাজায় ইসরাইলি হামলার দুই বছর
আজ ৭ই অক্টোবর, ফিলিস্তিনে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি অত্যাচারের দুই বছর পূর্ণ হলো। ২০২৩ সালের এই দিনে গোটা উপত্যকার দীর্ঘ ১৬ বছরের অবৈধ অবরোধ ভাঙার জন্য স্থানীয় স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর সশস্ত্র যোদ্ধারা ইসরাইলের মূল ভূখণ্ডে অভিযান চালায়। যার ফলে গাজায় বর্বর আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী, আধুনিক ইতিহাসে যার তুলনা মেলা মুশকিল।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই বছরের আগ্রাসনে গাজায় প্রায় ৬৭ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে হত্যা করেছে ইসরাইল। তবে স্থানীয় সাংবাদিকদের তথ্য অনুসারে ক্রমাগত ইসরাইলি হামলার জন্য হতাহত সবাইকে উদ্ধার করতে পারছেন না চিকিৎসাকর্মীরা।
দুবছরে যুদ্ধ বন্ধে বিভিন্ন সময় আলোচনা হলেও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর এক গুঁয়েমিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সোমবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ২১ জন নিহত ও ৯৬ জন আহত হন। যার ফলে ৭৩০ দিনের ইসরাইলি আগ্রাসনে অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় মোট নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ১৭০ ও আহতের সংখ্যা এক লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, দুই বছরে অনাহারে ১৫৪ শিশুসহ ৪৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসাথে ৯৮ শতাংশ কৃষিজমি নষ্ট ও ৯০ শতাংশ পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানানো হয়।
প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়েছে, ইসরাইলি হামলায় গাজার প্রায় ৯২ শতাংশ স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোট ছয় লাখ ৬০ হাজার শিশুর শিক্ষাকার্যক্রম তৃতীয় বছরের মতো বন্ধ আছে।
কিন্ত গাজায় প্রথম দফায় ২০২৩ সালের ২৪এ নভেম্বর হতে ৩০এ নভেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হয়। এই সময় মোট ১১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীরা। অপরদিকে ইসরাইলি কারাগার হতে ২৪০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়।
নতুন করে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে গত মাসের শেষে ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই পরিকল্পনায় সম্মতি জানিয়েছেন ও আলোচনাসাপেক্ষে এই পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছে হামাসসহ ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলো। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য সোমবার অব্দি মিসরের কায়রোতে দুই পক্ষের প্রতিনিধিদল অবস্থান করছে।
