সর্বশেষ আন্তর্জাতিক রাজনীতি অর্থনীতি দেশ ভিডিওচিত্র ২

ঈদকে সামনে রেখে রাজধানী ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ। ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট ও ধীরগতি। শুক্রবার সকাল থেকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে মির্জাপুরের গোড়াই পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।

অন্যদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বোর্ডবাজার থেকে সালনা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকায় গাড়ি চলছে থেমে থেমে।

পুলিশ যাত্রী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে বিভিন্ন স্থানে গাড়ি দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করানো ও রাতভর একাধিক যানবাহন বিকল হয়ে পড়ায় যানজট পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে রাজধানীর পোশাক কারখানাগুলোর ছুটি শুরু হলে একসঙ্গে বিপুলসংখ্যক মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা হন। এতে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

চন্দ্রা এলাকায় আটকে পড়া আকবর আলী নামের এক যাত্রী বলেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে প্রচণ্ড গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি কষ্ট পাচ্ছেন।

একই অভিজ্ঞতার কথা বলেন জে কে পরিবহনের চালক ময়নাল হোসেন। তিনি জানান মহাখালী থেকে পাঁচ ঘণ্টা আগে রওনা দিলেও এখনো চন্দ্রা এলাকায় দাঁড়িয়ে আছেন এবং অনেক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

যাত্রীরা জানান যাত্রীবাহী পরিবহন না পেয়ে কেউ কেউ ট্রাক পিকআপ ও অন্যান্য যানবাহনে করেই রওনা হচ্ছেন। অনেকে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছে যা যাত্রীদের আরও ভোগান্তিতে ফেলছে।

নাওজোর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সওগাতুল আলম জানান যানবাহনের গতি সচল রাখতে পুলিশ সদস্যরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। তিনি আরও জানান রাস্তায় যাত্রী তোলা এবং কিছু গাড়ির বিকল হয়ে পড়ায় এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন...

জনপ্রিয়

সর্বশেষ খবর