সর্বশেষ আন্তর্জাতিক রাজনীতি অর্থনীতি দেশ ভিডিওচিত্র ২

সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বড় রকমের সংস্কারে হাত দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এই খাতে কর্মসূচির সংখ্যা এক ধাক্কায় ১৪০ থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে ৯৫-এ। সেই সঙ্গে বাদ দেওয়া হয়েছে সঞ্চয়পত্রের সুদকে, যা এতদিন সামাজিক নিরাপত্তা বরাদ্দের অংশ হিসেবে ধরা হতো।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, পেনশন ও সঞ্চয়পত্রের সুদ বাদ দিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর প্রকৃত বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে ৮১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা। যদিও পুরো খাতে মোট প্রস্তাবিত বরাদ্দ ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দীর্ঘদিন ধরে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো সামাজিক নিরাপত্তা খাতের বরাদ্দে এবার কিছুটা স্বচ্ছতা এসেছে। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)–এর নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, এটা একটি ইতিবাচক দিক। পেনশন বা সঞ্চয়পত্রের সুদ প্রকৃত অর্থে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় পড়ে না।

ভাতা ও উপকারভোগী বাড়ছে, আসছে প্রযুক্তিনির্ভর ডিএসআর

এবারের বাজেটে ভাতা ও সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচিতে বাড়ানো হয়েছে মাসিক ভাতাও। এর মধ্যে বয়স্ক ভাতা ৬৫০ টাকা, বিধবা ৬৫০, প্রতিবন্ধী ৯০০ এবং মা–শিশু সহায়তা ভাতা ৮৫০ টাকায় উন্নীত হয়েছে।

সঠিক উপকারভোগী নির্ধারণে সরকার ‘ডায়নামিক সোশ্যাল রেজিস্ট্রি (ডিএসআর) চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। প্রযুক্তিনির্ভর এই পদ্ধতিতে সুবিধাভোগীদের তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। প্রাথমিকভাবে আটটি উপজেলায় এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন হলে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব।

আরও পড়ুন...

জনপ্রিয়

সর্বশেষ খবর