বিচার-সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ চান নাহিদ ইসলাম, ইউনূসের নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন ভীতি প্রকাশ
জাতীয় ঐক্যপরিষদের (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে বিচার ব্যবস্থার সংস্কার, রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও নির্বাচনের সমন্বিত রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন। ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জন প্রসঙ্গে নাহিদ দাবি করেন, "নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের" দায়ভার নিতে চান না প্রধান উপদেষ্টা। সেনাবাহিনীর রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে জড়িত হওয়া ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা হারানোয় সমালোচনা করেছেন তিনি।
নাহিদ ইসলামের রোডম্যাপের দাবি:
জুলাই ঘোষণাপত্রের পাশাপাশি বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে প্রকাশ করুন। এতে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা বাড়বে। ইউনূসকে রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। ইউনূস মনে করেন, গণ-অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্রীয় মৌলিক সংস্কার। তা না হলে তাঁর দায়িত্ব অর্থহীন। চাপ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে তিনি সম্মত নন।
সেনাবাহিনী ও নির্বাচন কমিশন:
সেনাবাহিনীর কাজ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দেওয়া নয়, দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
নির্বাচন কমিশন আস্থা হারিয়েছে। তারা সুষ্ঠু ভোট দিতে পারবে না, যদি না সংস্কার হয়।
দেশে অনৈক্যের মূল কারণ আওয়ামী লীগ। বিএনপি সবসময় নির্বাচনের কথা বললেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে। আওয়ামী আমলের ভোটের বৈধতা আদায়ের চেষ্টা বিশৃঙ্খলা ডাকবে।
এনসিপির অবস্থান:
অন্তর্বর্তী সরকারের ৫ বছরের ক্যাম্পেইনের সাথে আমরা একমত নই। কাজের ভিত্তিতে সময় নির্ধারণ হোক। মানবিক করিডর বা রিলিফ করিডর—যেকোনো সিদ্ধান্তে জনগণের সাথে স্বচ্ছতা জরুরি।
স্থান ও সময়: যমুনা রেসিডেন্সে ইউনূসের সাথে আলোচনার পর বৃহস্পতিবার এনসিপির সংবাদ সম্মেলন। উপস্থিত ছিলেন: এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ নেতারা।
ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জন: নাহিদের মতে, ইউনূস জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে দৃঢ়। সংস্কার না হলে তিনি দায়িত্বে থাকবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা।
সেনাবাহিনীর তালিকা প্রকাশ: "৬২৬ জনের তালিকা আগে প্রকাশ করলে সন্দেহ এড়ানো যেত, বলেছেন নাহিদ।