সংস্কার ও উন্নয়ন অগ্রগতির তথ্য চাইল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের গৃহীত সংস্কার ও উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ এবং সেগুলোর বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব (সিনিয়র সচিব) মোহাম্মদ শফিকুল আলম এই সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিবদের কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশনা ও ফরম্যাট
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে,
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীন গৃহীত সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রমের ধরণ, বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং কার্যকারিতা বিস্তারিতভাবে জানাতে হবে।
সংস্কার কমিশনসমূহের সুপারিশ অনুসরণে গৃহীত পদক্ষেপগুলোর তথ্যও দিতে হবে।
নির্ধারিত ছক বা ফরম্যাটে সফটকপি ও হার্ডকপি উভয় রূপে তথ্য জমা দিতে হবে।
প্রত্যেক পদক্ষেপের পেছনের কারণ, বাস্তবায়নের অবস্থা এবং প্রভাব আলাদাভাবে উল্লেখ করতে হবে।
তথ্য পাঠানোর জন্য নির্ধারিত তিনটি ইমেইল ঠিকানা হলো: shafiqul.alam@cao.gov.bd / azad.majumder@cao.gov.bd / ahammadfoyez@cao.gov.bd
তথ্য জমা দেওয়ার শেষ সময়সীমা: আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে।
সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম ও অগ্রগতি
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গঠিত ১১টি সংস্কার কমিশন ইতোমধ্যে তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জনপ্রশাসন-সংক্রান্ত কমিশনগুলোর সুপারিশগুলো বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২২ মার্চ এক বক্তব্যে বলেন,
"সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে যেগুলো এখনই বাস্তবায়ন করা সম্ভব, সেগুলো আমরা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে চাই।"
তিনি দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবগুলো আলাদাভাবে চিহ্নিত করে দেওয়ার অনুরোধও করেন।
বাস্তবায়নে ধীরগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
উপদেষ্টা পরিষদ ‘আশু বাস্তবায়নযোগ্য’ হিসেবে ১২১টি সংস্কার প্রস্তাব চিহ্নিত করলেও গত আড়াই মাসে এসব প্রস্তাবের বাস্তবায়নে গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর কাছে এসব প্রস্তাবের সম্ভাব্যতা, বাস্তবায়ন সময়সীমা ও প্রভাব নিয়ে মতামত চেয়েছে। তবে এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে বলে জানা গেছে।
উপসংহার
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর কাছে তথ্য চাওয়াকে সরকারের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আরও বাস্তবমুখী ও কার্যকর হবে বলে আশা করা যায়।