নরসিংদীতে বীভৎস ঘটনা: নেশাগ্রস্ত স্বামীর আগুনে পুড়ল ৫ জন, দুই শিশুসহ তিনজনের অবস্থা গুরুতর
নরসিংদীর সদর উপজেলায় এক চরম অমানবিকতার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার গভীর রাতে উপজেলার সঙ্গীতা এলাকায় ঘুমন্ত অবস্থায় দুই বোন এবং তাদের তিন সন্তানের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এক পাষণ্ড স্বামী। এই নৃশংস ঘটনায় দগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা যায়, দগ্ধরা হলেন **রিনা বেগম** (ফরিদ মিয়ার স্ত্রী), রিনার দুই ছেলে **আরাফাত** ও **তাওহীদ**, এবং রিনার শ্যালিকা **সালমা বেগম** ও তার ছেলে **ফরহাদ**।
প্রতিবেশী ওমর ফারুকের মাধ্যমে দগ্ধদের উদ্ধার করে প্রথমে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাদের মধ্যে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান জানান, **রিনা বেগমের শরীরের ৫৮ শতাংশ**, **ফরহাদের ৪০ শতাংশ** এবং **তাওহীদের ১৬ শতাংশ** পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা খুবই গুরুতর। বাকি দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেশী ওমর ফারুক জানান, রিনা বেগম তার বোন সালমা ও সন্তানদের নিয়ে অন্যের জমিতে তৈরি একটি ছাপড়া ঘরে থাকতেন। রাতের অন্ধকারে রিনার স্বামী ফরিদ মিয়া ঘরের দরজার নিচ দিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী টিনের বেড়া ভেঙে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
রিনার বাবা মহন মিয়া অভিযোগ করেন, ফরিদ মিয়া নেশাগ্রস্ত এবং দীর্ঘদিন ধরে রিনার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন।
নরসিংদী থানার এসআই অনিক কুমার গুহ নিশ্চিত করেন, '৯৯৯'-এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দগ্ধদের উদ্ধার করে। তবে কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
