রাজধানীতে কাল থেকে নতুন নকশার নোট, থাকছে জাতীয় স্থাপনার ছবি
আগামীকাল সোমবার (২ জুন) থেকে রাজধানীর বিভিন্ন ব্যাংক শাখায় নতুন নকশার নোট বিতরণ শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন এই নোটগুলোর ডিজাইন ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যে এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।
গেল বছরের জুলাই মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সংবলিত নোট ছাপানো ও বিতরণ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে বাজারে ছেঁড়া, পুরোনো ও মলিন নোটের প্রাচুর্য তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন নোট ছাপানোর উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা অবশেষে বাস্তবায়িত হলো।
আজ রোববার (১ জুন) থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে প্রাথমিকভাবে সীমিত পরিসরে নতুন ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট বিতরণ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, পূবালী, উত্তরা, ডাচ্–বাংলা, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আল–আরাফাহ ইসলামী এবং ব্র্যাক ব্যাংকের লোকাল অফিসগুলোতেও নতুন টাকা পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল সোমবার থেকে অন্যান্য ব্যাংকেও বিতরণ শুরু হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, ঈদের আগেই বাজারে সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়া সম্ভব হয়েছে। এসব নোটের অধিকাংশই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে। রাজধানীর বাইরের জেলাগুলোতে ঈদের আগে নতুন নোট পৌঁছাবে না বলে জানানো হয়েছে।
নতুন নোটগুলোর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো—এগুলো শতভাগ সুতি কাগজে ছাপা এবং প্রতিটিতেই জলছাপ হিসেবে রয়েছে বেঙ্গল টাইগারের মুখ। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির পরিবর্তে এবার রাখা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্থাপনার ছবি।
১০০০ টাকার নোটে সামনে রয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ, ব্যাকগ্রাউন্ডে রয়েছে জাতীয় ফুল শাপলার নকশা, আর পেছনে মুদ্রিত হয়েছে জাতীয় সংসদ ভবনের ছবি। নোটটি বেগুনি রঙের আধিক্যপূর্ণ।
৫০ টাকার নোটে সামনে আহসান মঞ্জিল, পেছনে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ‘সংগ্রাম’ চিত্রকর্ম, এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে রয়েছে শাপলার চিত্র। রঙে গাঢ় বাদামি।
২০ টাকার নোটে সামনের দিকে রয়েছে ঐতিহাসিক কান্তজিউ মন্দিরের ছবি এবং পেছনে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার। সবুজ রঙের আধিক্যপূর্ণ এই নোটেও রয়েছে শাপলার ব্যাকগ্রাউন্ড।