সর্বশেষ আন্তর্জাতিক রাজনীতি অর্থনীতি দেশ

বরেণ্য সাংবাদিক হাসানুল কাদিরের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৮টায় হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার শ্বশুরবাড়ি এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

হাসানুল কাদিরের মেঝো ছেলে যাকওয়ান শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে দেয়া এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) তিনি হবিগঞ্জে নিজের বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক হাসানুল কাদির দীর্ঘদিন মানসিক রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে, এক মেয়ে, স্ত্রীসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।

হাসানুল কাদির মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত হলেও পরে তিনি মূলধারার গণমাধ্যমে যুক্ত হন। সাপ্তাহিক মুসলিম জাহান ও মাসিক আদর্শ নারী পত্রিকায় তিনি প্রদায়ক হিসেবে কাজ করেন। পরে দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক মানবজমিন, দৈনিক যায়যায়দিন, দৈনিক কালের কণ্ঠ ও দৈনিক ডেস্টিনিসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সাংবাদিকতা করেন। তাঁর কিছু প্রতিবেদন পাঠকসমাজে বিশেষভাবে আলোচিত হয়।

পেশাগত জীবনের পাশাপাশি তিনি নিজস্ব গণমাধ্যম ও সংগঠন গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। ‘পরশ’ নামে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করলেও তা বেশিদিন চালু রাখতে পারেননি। এছাড়া তিনি মিরপুর মুসলিম বাজার মাদরাসায় কিছুদিন শিক্ষকতাও করেন। নতুন মিছিল নামে একটি সাহিত্য কাগজও বের করেন। পরে একটি মেয়েদের পত্রিকা মহিলা কণ্ঠ প্রকাশ করেন।

শেষ জীবনে মানসিক অসুস্থতায় তিনি বারবার হাসপাতালে ভর্তি হন এবং চিকিৎসা নেন। অসুস্থতার মধ্যেও ঢাকায় ফিরে কিছু করার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।

তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায়, তবে জীবনের শেষ সময় তিনি হবিগঞ্জের শ্বশুরবাড়ি এলাকায় কাটান এবং সেখানেই ইন্তেকাল করেন।

তার মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজ, সাহিত্য অঙ্গন ও ইসলামী চিন্তাশীল মহলে গভীর শোক নেমে আসে।

আরও পড়ুন...

জনপ্রিয়

সর্বশেষ খবর