সর্বশেষ আন্তর্জাতিক রাজনীতি অর্থনীতি দেশ ভিডিওচিত্র ২

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের মূল্যস্ফীতির হার ৭ শতাংশে নেমে আসবে। তাঁর মতে, সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত বিভিন্ন সংকোচনমূলক নীতি এবং বৈশ্বিক বাজারে পণ্যমূল্য কমার ফলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে।

হ্রাসের কারণ

গভর্নর মনসুর জানান, গত কয়েক মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪.৫ শতাংশ থেকে ৮.৫ শতাংশে এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ১১.৫ শতাংশ থেকে ৯.২৫ শতাংশে নেমে এসেছে। বৈশ্বিক বাজারে খাদ্য, জ্বালানি ও গ্যাসের দাম কমার পাশাপাশি স্থিতিশীল মুদ্রাবাজারও মূল্যস্ফীতি হ্রাসে সহায়ক হয়েছে।

সরকারি উদ্যোগ

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সংকোচনমূলক রাজস্বনীতি, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো এবং আমদানিকৃত পণ্যের জন্য ডলার সরবরাহ নিশ্চিত করা। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রিটেইল পর্যায়ে বিশেষ নজরদারিও জোরদার করা হয়েছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

গভর্নর বলেন, “যদি গৃহীত নীতিগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় থাকে, তাহলে দীর্ঘমেয়াদে মূল্যস্ফীতি ৪ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব।” তবে তিনি সতর্ক করে জানান, এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে সময় লাগবে এবং এতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা কমে যেতে পারে।

বিশ্লেষকদের পর্যবেক্ষণ

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, রমজান ও ঈদের সময় বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সফল পদক্ষেপ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রবণতা মূল্যস্ফীতি কমাতে সাহায্য করছে। তবে তাঁরা জ্বালানি মূল্য ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।

উপসংহার

ড. মনসুরের আশাবাদী বক্তব্য দেশের অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, লক্ষ্য অর্জনে সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘনিষ্ঠ সমন্বয় ও কার্যকর বাজার তদারকি অব্যাহত রাখা জরুরি।

আরও পড়ুন...

জনপ্রিয়

সর্বশেষ খবর