ঈদুল আজহার আগে হাট বসানো নিয়েই হিমশিম: বিক্ষোভে ডিএসসিসির দরপত্র প্রক্রিয়া স্থবির
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকায় অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসানোর প্রস্তুতি ব্যাহত হচ্ছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)-এর ২০টি হাটের মধ্যে মাত্র ৩টির দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ডিএসসিসির নগর ভবনে বিএনপির চলমান বিক্ষোভ ও তালাবন্ধ অবস্থার কারণে প্রশাসনিক কাজ স্থবির।
ডিএসসিসি
১১টি হাটের মধ্যে ৯টির দরপত্র প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ। আফতাবনগর ও মেরাদিয়া হাট বাতিল হয়েছে সীমানা বিরোধ ও আইনি জটিলতায়। ৫টি হাটে ইজারা প্রক্রিয়া ৮০% শেষ, ওয়ার্ক অর্ডার বাকি: উত্তর শাহজাহানপুর, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট, রহমতগঞ্জ, আমুলিয়া ও হাজারীবাগ। শ্যামপুর ও কমলাপুরের হাটের দরপত্র খোলা বিলম্বিত।
ডিএনসিসির অগ্রগতি:
১১টি হাটের মধ্যে ২টির (মোস্তুল ও তেজগাঁও) দরপত্র চূড়ান্ত।
৬টি হাটে পুনরায় দরপত্র আহ্বান: ভাটারা-সুতিভোলা, উত্তরা, ইস্টার্ন হাউজিং, বসিলা, ভাটুরিয়া, কালশী।
গাবতলী হাটসহ নতুন ২ হাটের জন্য দরপত্র বিজ্ঞপ্তি জারি।
৭ জুন ঈদুল আজহা উদযাপনের সম্ভাবনা; হাট বসাতে মাত্র ১২ দিন বাকি। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র দাবিতে ডিএসসিসি ভবন অবরুদ্ধ, প্রশাসনিক কাজ বন্ধ। গত বছর এই সময়ের মধ্যে ইজারা প্রক্রিয়া শেষ হলেও এবার রাজনৈতিক অচলাবস্থায় বিলম্ব।
হাসিবা খান (ডিএসসিসি এস্টেট বিভাগ): বিক্ষোভের কারণে নগর ভবনে কাজ করা যাচ্ছে না। বিক্ষোভ শেষ হলে দ্রুত ইজারা প্রক্রিয়া শেষ করব।
শাহজাহান মিয়া (ডিএসসিসি প্রশাসক): অবরোধের কারণে ফাইল দেখা বা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। হাটের ইজারা চূড়ান্ত করতে পারছি না।
মোহাম্মদ এজাজ (ডিএনসিসি প্রশাসক): ২৮ মে-র মধ্যে সব হাটের দরপত্র শেষ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।
সময়স্বল্পতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় হাট ব্যবস্থাপনা জটিলতা বাড়তে পারে। দরপত্র বিলম্বের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে পশু বিক্রেতা-ক্রেতাদের ভোগান্তি আশঙ্কা। গাবতলী হাটের মতো বড় কেন্দ্রগুলোতেও প্রস্তুতি নিয়ে উদ্বেগ।
ঈদের আগে শহুরে জনগণের সুবিধার জন্য কোরবানির হাট দ্রুততম সময়ে চালু করা জরুরি। তবে রাজনৈতিক সংঘাত ও প্রশাসনিক জটিলতা এই প্রক্রিয়াকে হুমকির মুখে ফেলেছে। উভয় সিটি করপোরেশনের জন্য এখনই বিকল্প পরিকল্পনা নেওয়া সময়ের দাবি।