জাতীয় নিরাপত্তায় আপোষহীন সেনাবাহিনী: অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার থেকে ঈদের নিরাপত্তা পর্যন্ত
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষহীন অবস্থান জানিয়েছে। করিডোর ইস্যুতে কোনো সমঝোতা না করার পাশাপাশি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
গত ৪০ দিনে ৯,৬১১টি অবৈধ অস্ত্র ও ২.৮৫ লাখ গোলাবারুদ উদ্ধারসহ ১৪,২৬৬ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ২ সপ্তাহের বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে সেনাবাহিনী।
লে.কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম :
জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কাজে সেনাবাহিনী জড়িত হবে না। গত ৫ আগস্টের পর থেকে আমরা সমন্বিতভাবে দেশের স্বার্থে কাজ করছি। কেউ মব গঠন করে অস্থিরতা সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করা হবে। চট্টগ্রামে কেএনএফের পোশাক উদ্ধারকে "উদ্বেগজনক" আখ্যা দিয়ে বিষয়টি তদন্তের কথা জানান।
অপরাধ দমন ও অভিযানের পরিসংখ্যান:
গত ৪০ দিনে: ২৪১টি অস্ত্র, ৭০৯ রাউন্ড গোলাবারুদ।
৫ আগস্ট থেকে চলতি পর্যন্ত: ৯,৬১১টি অস্ত্র, ২.৮৫ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ।
গত এক মাসে: ১,৯৬৯ জন (কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজ, ডাকাত, মাদক কারবারি)।
৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত: ১৪,২৬৬ জন।
২০ মে ভাষানটেকে অভিযান চালিয়ে ১০ জনসহ ৪ পিস্তল ও ২৮ রাউন্ড গুলি জব্দ।
গত ৪০ দিনে: ৪৮৭ জন মাদক ব্যবসায়ী আটক।
৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত: ৪,৪০০ জন।
ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাঁজা, অবৈধ মদ।
শোর ও সাতক্ষীরায় জেলি মিশ্রিত চিংড়ি উৎপাদনকারী সিন্ডিকেট ভেঙে সদস্যদের আটক।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভেজাল শিশুখাদ্য উৎপাদন ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা।
চিকিৎসা সহায়তা:
জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনে আহত ৪,৫৯৬ জনকে সেনাবাহিনীর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৩৬ জন চিকিৎসাধীন।
ঈদুল আজহার নিরাপত্তা প্রস্তুতি:
ঈদের আগে-পরে ২ সপ্তাহ জাতীয় মহাসড়ক, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন ও লঞ্চ টার্মিনালে নিরবচ্ছিন্ন টহল। স্পিড চেকপোস্ট স্থাপন ও টিকিট কালোবাজারি রোধ।
সেনাবাহিনীর এই অভিযান ও পরিকল্পনা দেশের নিরাপত্তা ও জনগণের আস্থা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে সমন্বিত প্রয়াস চলমান