হাদিসের শিল্পী হাফেজ আহমদ উল্লাহ আর নেই
আমার প্রিয় উস্তাদ আর পৃথিবীতে নেই। তিনি চলে গেছেন অনন্ত পরপারে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শাইখুল ইসলাম শাইখুল হাদিস হযরত আল্লামা মাওলানা হাফেজ আহমাদুল্লাহ ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ এই পৃথিবী ছেড়ে এভাবেই চলে গেলেন।
আজ মনে পড়ে, প্রিয় ওস্তাদ কাছে ডাকতেন ভালোবাসার সঙ্গে, হৃদয় নিংড়ানো এক ধরনের টান অনুভব করতাম তার ডাকে, আহবানে। আজ তিনি নেই। পরপরের জীবনে তাকে অনেক অনেক ভালো রাখুন আল্লাহ তাআলা , জান্নাতের আলা মাকাম দান করুন।
আমি ২০০৬ সালে জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ায় দাওরায় হাদিস পড়েছি। এক বছর। পটিয়ায় আমি একটি বছরই থেকেছি। প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমাকে হযরত চিনে নিয়েছিলেন, এটা ছিল আমার জন্য পরম পাওয়া। ওস্তাদ আমাকে চিনতেন, কাছে ডাকতেন, মাঝে মাঝে দাওরায়ে হাদিসের পক্ষ থেকে একেবারে ওস্তাদের রুম পর্যন্ত এগিয়ে যেতাম। ভালো লাগতো।
হাদিসের শিল্পী হাফেজ আহমাদুল্লাহ রাহিমাহুমুল্লাহর কাছে আমরা বুখারী শরীফ পড়েছি। কালা কালা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পড়াতে পড়াতেই তিনি জীবনের ইতি টানলেন। জীবনের এক মুহূর্ত থেকেও তিনি ইলিম থেকে বিচ্যুত থাকেননি। জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার ইতিহাসে এক কিংবদন্তি আলেমের নাম হাফেজ আহমদ উল্লাহ। শিক্ষার্থীদের হৃদয় জগতে তিনি নাড়া দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। আপনি যদি শিল্পীত চোখে তাকে মূল্যায়ন করেন- তাহলে বলবেন, শিক্ষার্থীদের চোখের রাজা হাফেজ আহমদ উল্লাহ। তিনি শুরু থেকেই শাইখুল হাদিস ছিলেন তবুও তিনি হাফেজ আহমাদুল্লাহ নামে পরিচিত ছিলেন। চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার জিরিতে তার জন্ম।
ইন্তেকালের আগের কয়েক বছর তিনি বেশ কিছু অসুস্থতা নিয়ে ভুগছিলেন। শেষতক আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে তুলে নিলেন। আমরা কায়মনো বাক্যে প্রার্থনা করি, আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতের আলা মাকাম দান করেন আমিন।