রাত জাগিয়ীর মূকবেদনা

দিনের ওপারে যখন নিঃসঙ্গতা সর্বব্যাপী গ্রাস করে ফেলে, দীপাধারে কালি কলমগুলো তখন জেগে উঠে নিঃশব্দে। আর হ্রাসদীপ্তি খেলা মেঘে যেন ডাকে তড়িৎ। লেখা হয় তখন এক নতুন আগন্তুকের নাম।

আজ লিখতে বসেছি কাগজের বুকে খস্ খস্ শব্দে কলম এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কালিগুলো অস্পষ্ট, কারণ, উদ্ভ্রান্ত মনে বয়ে চলেছে প্রতিকূলতার ঝড়। আকাশে মেঘ ডাকছে। জমিনের বিষাক্ত উষ্ণতাগুলো দূরীভূত হয়ে যাচ্ছে হিমবাহে। এর মাঝে আচমকা চারেক গাড়ি ক্ষীপ্র ছুটে যাচ্ছে নিস্তব্ধ নগরীর বুকে। কিন্তু আমার মনে স্থিরতা নেই। নেই এক কেন্দ্রে নিজেকে মনোনিবেশ করার কোন প্রয়াস।

অব্যক্ত এসব ভাবনাকে ঘিরে প্রীতিকর চাঞ্চল্য আমার বৃত্তে এক নব আন্দোলনের উন্মেষ জাগিয়ে তুলছে। অতি তীব্র, তবে ক্ষণিকেই সব আবার মিলিয়ে যাচ্ছে। অসমাপ্ত হয়ে যন্ত্রণাগুলো পরিণাম একটাই, নিদ্রালোপ। তুচ্ছ আয়ুর বহু আরামশয্যা বকেয়ার ডায়েরির নিন্দিত মসি তলে সমাধিত হয়ে আছে। যার মূল্য হাজার বছরেও আমি ফিরিয়ে দিতে পারবো না। তবে আমার রাত জাগিয়ী হয়ে থাকা সৌভাগ্যের কি দুর্ভাগ্যের তা আমি বলতে চাচ্ছি না। কিন্তু আমার পরবর্তী প্রজন্মের কেউ যখন মর্মগুলো (ভিন্ন হেতু) কোন গ্রহের আবিষ্কার করবে, এমন অলিক কল্পনায় কখন নিজের মাঝে পুলকে হেসে উঠি! আবার পরিণতির শংকায় ভীত হয়ে নিজের মাঝে পালাতেও থাকি।

 

মানুষের চিন্তা ভাবনার একটা মূল্য আছে। কেননা মানুষের সম্মানের মূল কারণ হলো, তার চিন্তাশক্তি, তার কল্পনাশক্তি। এ হেতু এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় ক্ষেত্রেই একটা মূল্য নির্ধারিত। যদ্দরুণ আমার রক্তঝরা সময়গুলো কোন অংশেই তুচ্ছ নয়।

আরও পড়ুন...

0 মন্তব্য রয়েছে

একটি মন্তব্য করুন

চিন্তা করবেন না! আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না।

জনপ্রিয় ব্লগ

বিভাগ

সর্বশেষ ব্লগ